যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
ভোট পরবর্তী ময়নাতদন্ত করতে গিয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব বেশকিছু বিস্ফোরক তথ্য হাতে পেয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। দলের কয়েকজন নেতা-কর্মী বিজেপির কাছে ‘বিক্রি’ হয়ে গিয়েছিলেন বলে খবর এসেছে। বর্ধমান-দুর্গাপুর এবং বর্ধমান পূর্ব দু’টি লোকসভা আসনের বিভিন্ন জায়গায় সাবোতাজ হয়েছে বলে খবর। জেলার দু’-একটি ব্লক ছাড়া মোটামুটি সব জায়গায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে বলে অভিযোগ। ভোট পরিচালনায় যে নেতা কিংবা গোষ্ঠীর হাতে গুরুদায়িত্ব ছিল তার পাল্টা গোষ্ঠী উল্টোভাবে খেলে দিয়েছে বলে খবর আসছে।
বর্ধমান পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ড নিয়ে বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা এলাকা। বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভার অন্তর্গত বর্ধমান কেন্দ্র থেকেই ভালো লিডের প্রত্যাশা রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। কিন্তু, বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে দলের খেয়োখেয়িতে প্রত্যাশিত লিড হবে কি না তা নিয়ে সংশয় আছে। কারণ, নিজের ওয়ার্ড থেকে লিড না পেলে পুরভোটে টিকিট মিলবে না বলে দলের অবস্থান অনেক জায়গায় ব্যুমেরাং হয়ে গিয়েছে। দলীয় সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। কারণ, মেয়াদ ফুরনো বর্ধমান পুরসভার কয়েকজন প্রাক্তন কাউন্সিলারকে টিকিট পাওয়ার লাইন থেকে ছিটকে দিতে বিপক্ষ গোষ্ঠী কয়েকটি জায়গায় অন্তর্ঘাত করেছে বলে খবর। ভোটের পর শহরের বিভিন্ন জায়গায় শাসক দলের গোষ্ঠীসংঘর্ষ হয়েছে। তাতে বিপক্ষ শিবিরের হয়ে ভোট করানোর অভিযোগ থেকেই সঙ্ঘাত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ভোটের প্রচারপর্বে বিরোধীদের থেকে অনেকটাই এগিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্ধমান শহরে রোড-শো করেছেন। এছাড়াও তিনি বর্ধমান-১ ব্লকের দেওয়ানদিঘি, রায়নার সেহেরাবাজার, পূর্বস্থলীর জামালপুরে নির্বাচনী সভা করেছেন। মন্ত্রী তথা দলের জেলা পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস বিভিন্ন বিধানসভা এলাকায় রোড-শো করেছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ সভা করেছেন। দেব, ইন্দ্রাণী হালদার সহ একঝাঁক চলচ্চিত্র তারকা তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট প্রচার সেরেছেন। তুলনায় বিজেপি, সিপিএম কিংবা কংগ্রেস প্রচারের দিক থেকে অনেকটাই পিছিয়েছিল। ভোটের পর এলাকাভিত্তিক রিপোর্ট সংগ্রহ করে তৃণমূল কংগ্রেস। কোথায় কেমন ভোট হয়েছে, তা নিয়ে রিপোর্ট আসার পরই বেশকিছু জায়গায় দলের নেতা-কর্মীদের ‘গদ্দারি’ সামনে চলে এসেছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। দলের দু’-একজন বিধায়ক এবং প্রাক্তন বিধায়কের ভূমিকাও এক্ষেত্রে সন্দেহজনক বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে। বর্ধমান, কালনা, কাটোয়া ও গুসকরা শহরেও অন্তর্ঘাত হয়েছে বলে খবর। এছাড়াও কয়েকটি বিধানসভায় বিক্ষিপ্তভাবে এই ঘটনা ঘটেছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কয়েকজন দলের বিরুদ্ধে মতামত দিচ্ছেন। তাঁরা ভোটে বিজেপির হয়ে কাজ করেছেন। এছাড়াও কিছু জায়গায় দলের লোকজন বিজেপির হয়ে ভোট করিয়েছে। আমরা তালিকা তৈরি করে রাখছি। আপাতত ২৩ মে ভোট গণনার দিকে আমাদের ফোকাস। তারপর এনিয়ে যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা হবে। তবে, দু’টি আসনে জয়ের ব্যাপারে আমরা ১০০ শতাংশ আশাবাদী।