যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ফলাফলের জন্য স্বাভাবিকভাবেই চরম উৎকন্ঠা থাকে। তবে এখন স্কুল থেকে রেজাল্ট জানার আগেই ইন্টারনেট বা এসএমএসের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীরা ফলাফল জানতে পারে। ইন্টারনেট বা এসএমএসের মাধ্যমে অবশ্য বিষয়ভিত্তিক নম্বর জানা যায় না। মোট প্রাপ্ত নম্বর এবং উত্তীর্ণ, না অনুত্তীর্ণ তার উল্লেখ থাকে। তাই ফলাফল সামগ্রিকভাবে জানতে পরীক্ষার্থীদের নিজের নিজের স্কুলেই ছুটতে হয়।
জানা গিয়েছে, আজ সকাল ১০টা থেকে কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুল থেকে কৃষ্ণনগর ও তেহট্ট মহকুমার স্কুলগুলির রেজাল্ট শিট ও উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের শংসাপত্র বণ্টন করা হবে। রানাঘাটের একটি স্কুলে বণ্টন হবে রানাঘাট ও কল্যাণী মহকুমার স্কুলগুলির রেজাল্ট শিট। মধ্যশিক্ষা পর্যদের জেলা প্রতিনিধিরা বলেন, দেড় ঘণ্টার মধ্যে সব স্কুল রেজাল্ট শিট হাতে পেয়ে যায়। ফলে পরীক্ষার্থীদের রেজাল্ট জানতে দেরি হবে না। পরীক্ষার্থীরা স্কুলে গিয়ে মার্কশিট ও শংসাপত্র সংগ্রহ করতে পারবে।
প্রতি বছরেই মাধ্যমিকের রাজ্য মেধা তালিকায় স্থান অর্জন করে নদীয়া জেলার পড়ুয়ারা। শিক্ষকমহল মনে করছে, এবারও একাধিক পড়ুয়ারা রাজ্য মেধা তালিকায় থাকবে। তবে অভিভাবকদের একাংশ বলেন, রাজ্য মেধা তালিকায় যারা স্থান অর্জন করে, তারা সকলেই প্রায় গৃহশিক্ষকের উপর নির্ভরশীল। তাদের প্রতিটি বিষয়ে একাধিক গৃহশিক্ষক থাকে। স্কুলের ভূমিকা খুব একটা থাকে না। মেধাতালিকায় নাম থাকা কৃতীদের ক্ষেত্রে খোঁজ নিলে জানা যাবে, তারা স্কুলেও খুব একটা আসে না। স্কুলের হাজিরায় অনুপস্থিতির হার বেশি। অভিভাবকরাও স্কুলের পঠন পাঠনে খুব একটা ভরসা রাখতে পারেন না। তাই ছেলেমেয়ের ভালো ফলের জন্য গৃহশিক্ষক রাখতে বাধ্য হন।
মধ্যশিক্ষা পর্যদের নদীয়া জেলা আহ্বায়ক প্রশান্ত দে বলেন, স্কুলগুলিতে দ্রুত রেজাল্ট শিট ও উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের শংসাপত্র পৌঁছে যাবে। পরীক্ষার্থীরা মার্কশিট ও শংসাপত্র একই দিনে সংগ্রহ করতে পারবে।