যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
এদিন সকালে তৃণমূল প্রার্থী ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে পুজোয় বসেন। তখনও মোবাইল বন্ধ ছিল। পৌনে সাতটা নাগাদ মোবাইল চালু করতেই একে একে কল আসতে শুরু করে। সবকিছু ঠিকঠাক চলছে বলে দলের কর্মী-নেতৃত্ব জানাচ্ছিলেন। এরপর সাতটা বাজতেই তিনি এক দলীয় কর্মীর বাইকে চড়ে কান্দি পুরসভা এলাকার বুথগুলিতে ঘোরেন। এদিন প্রথমেই তিনি পুরসভা এলাকার ছাতিনাকান্দি এলাকার দু’টি বুথে যান। এরপর প্রভাকরপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, রূপপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পৌঁছন। সেখানে দলীয় এজেন্ট ও বুথ ক্যাম্পের কর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। এরপর সেখান থেকে খবর আসে কেদারনাথ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইভিএম খারাপ। সেখানে গিয়ে দলীয় কর্মীদের বলেন, ভোটারদের যেন কোনও সমস্যা না হয়। এরপর তিনি বাঘডাঙা, নোয়াপাড়া, জেমো উচ্চ বিদ্যালয়, কান্দি রাজ কলেজ, হোমতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়, কান্দি বালিকা বিদ্যালয় বুথগুলিতে বুথ এজেন্ট ও কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর বেলা পৌনে ১২টা নাগাদ তিনি বাড়ি ফেরেন। বাড়িতে খাওয়া দাওয়ার পর ফের গাড়ি নিয়ে কান্দি ব্লক এলাকার বিভিন্ন বুথ পরিদর্শনে বেরিয়ে পড়েন। পরে তিনি গোকর্ণ ১ ও ২ পঞ্চায়েত এলাকায় যান। এরপর দুপুরের দিকে কান্দি ফিরে নিজের ভোট দেন। পরে ফের তিনি কুমারসন্দ, মহালন্দি পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন বুথ পরিদর্শন করেন। এদিন গৌতমবাবু বলেন, মানুষ উৎসবের মেজাজে ভোট দিয়েছেন। তবে গরমের কারণে দুপুরের দিকে ভোটাররা নাজেহাল হন।
বিজেপি প্রার্থী সনৎ মণ্ডলও সকাল থেকে গাড়িতে কয়েকটি পঞ্চায়েত এলাকার বুথ পরিদর্শন করেন। তিনি মহালন্দি-১ ও ২ পঞ্চায়েত, গোকর্ণ-১ ও ২, কুমারসন্দ এবং বহরমপুর ব্লকের সাটুই, চৌরিগাছা এলাকায় বুথ পরিদর্শন করেন। সনৎবাবু বলেন, এদিন সকাল থেকে যেখানে গিয়েছি ভোটারদের আনন্দের সঙ্গে ভোট দিতে দেখা গিয়েছে। দুপুরের দিকে তিনি ভোট দিয়েছেন।
এদিকে এদিন সকাল থেকেই কংগ্রেস প্রার্থী সফিউল আলম খান ও সিপিআই প্রার্থী দেবজ্যোতি রায় কার্যত ছুটে বেড়ান। অশান্তির খবর পেলেই তাঁরা ছুটে গিয়েছেন। এদিন সকাল সাতটা বাজার আগেই কংগ্রেস প্রার্থী বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। বিভিন্ন বুথে দলীয় এজেন্টদের বসানোর ব্যবস্থা করেন। কান্দি পুরসভার ১১নম্বর বুথে এজেন্ট বসা নিয়ে সমস্যার জেরে তিনি তিনবার সেখানে ছুটে গিয়েছেন। এছাড়াও কান্দি পুরসভার অন্যান্য বুথেও তিনি বাইক নিয়ে ছুটে বেড়িয়েছেন। এরপর বেলা ১০টা নাগাদ চারচাকা গাড়ি নিয়ে কান্দি ব্লক এলাকার বিভিন্ন গ্রামে ছুটে বেড়িয়েছেন। কখনও যশোহরি পঞ্চায়েতের মাধুনিয়া, কখনও আবার আন্দুলিয়া পঞ্চায়েত এলাকায় গিয়েছেন। আবার দুপুরের পর গোকর্ণ, মহালন্দি পঞ্চায়েত এলাকাতেও গিয়েছেন। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ তিনি নিজের ভোট প্রয়োগ করেন। সফিউল সাহেব বলেন, এদিন সকালে স্নান করার পরেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছি। এরপর বিভিন্ন বুথে অশান্তির খবর আসছে। তখন থেকেই ছুটে বেড়িয়েছি। চা বিস্কুট ছাড়া সারাদিন কার্যত খাওয়াদাওয়া হয়নি।
এদিন সকাল থেকে সিপিআই প্রার্থী দেবজ্যোতি রায় বাইক নিয়ে বিভিন্ন বুথ ঘুরে দেখেন। সকালেই তিনি কান্দি পুরসভা এলাকার বুথগুলিতে ঘুরে দেখেন। পরে আন্দুলিয়া, গোকর্ণ পঞ্চায়েত এলাকায় যান। দেবজ্যোতিবাবু বলেন, এদিন সকাল থেকে অশান্তির খবর পেলেই ছুটে গিয়েছি।