যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৬মে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের ডিরেক্টর সমস্ত জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, জেলা ও মহকুমা হাসপাতালের সুপার সহ অন্যান্য আধিকারিকদের কাছে রেফার সংক্রান্ত এই চিঠি পাঠান। ২০১৭ সালের ২৩ আগস্ট ইস্যু হওয়া একটি অর্ডারের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ওই চিঠিতে বলা হয়, মুমূর্ষু রোগীকে স্থিতিশীল না করে অন্য কোনও হাসপাতালে রেফার করা যাবে না। এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা দপ্তরের তরফে আগেই পাঠানো হয়েছিল। আবারও সকলকে বলা হচ্ছে, সঙ্কটাপন্ন রোগীকে স্থিতিশীল না করে কোনওভাবেই অন্য কোনও হাসপাতালে স্থানান্তর করা যাবে না। রোগীকে অন্য হাসপাতালে বদলি করতে হলে সেই হাসপাতালে বেড আছে কি না, তা নিশ্চিত করতে হবে। অর্থাৎ যে হাসপাতালে ওই রোগীকে স্থানান্তরিত করা হবে, সেখানে আদৌ বেড ফাঁকা আছে কি না, তা যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্থানান্তর করবে তাদেরই নিশ্চিত করতে হবে। যে হাসপাতালে রোগীকে স্থানান্তর করা হয়েছে, সেখানে যতক্ষণ না পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট রোগী ভর্তি হচ্ছে, ততক্ষণ রোগীর সমস্ত খোঁজখবর রাখতে হবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। কোনওরকম সময় নষ্ট না করে দ্রুত মুমূর্ষু রোগীকে ডায়াগন্যাস্টিক ও কিউরেটিভ সার্ভিস দিতে হবে। এছাড়া এই জাতীয় রোগীকে সিসিইউ ও আইসিইউয়ে ভর্তি করার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
এই চিঠি আসার পর চিকিৎসক মহলেও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রেফার সংক্রান্ত বিষয়ে বারে বারে সরকারি হাসপাতালগুলিকে সতর্ক করেও খুব একটা লাভ হয়নি। কারণ, রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দায় এড়াতে প্রায়ই রোগীকে রেফার করে দেওয়া হয়। এরপর রোগীর পরিবার সিংহভাগ ক্ষেত্রে সেই হাসপাতালে বেড না পেয়ে চড়কিপাক খেতে থাকে। এই হাসপাতাল, ওই হাসপাতাল ঘুরে বহুক্ষেত্রে দালালদের খপ্পরে পড়ে বেসরকারি নার্সিংহোমে রোগীকে নিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এই ধরনের ঘটনা বন্ধ করতেই রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর রেফার সংক্রান্ত বিষয়ে নতুন এই নির্দেশিকা পাঠিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
যদিও চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, এই নিয়ম মানতে গেলে জেলা থেকে কলকাতার সিংহভাগ মেডিক্যাল কলেজে রোগী রেফার করা সম্ভব হবে না। কারণ, কলকাতার অধিকাংশ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ বা হাসপাতালের সুপার, অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার সহ অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করাই কঠিন। তাছাড়া রাতে কোনও রোগীকে আচমকা স্থানান্তরের প্রয়োজন হলে সেক্ষেত্রে কার সঙ্গে কথা বলে বেডের নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে, সেই বিষয়ে নির্দেশে কোনও স্পষ্ট উল্লেখ নেই। ফলে মহকুমা থেকে জেলাস্তরের পাশাপাশি কলকাতার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এই সংক্রান্ত নির্দিষ্ট সেল গঠন করে ২৪ঘণ্টা টোল ফ্রি নম্বর চালু না রাখলে বাস্তবে এই নির্দেশ কার্যকর হওয়া কঠিন বলেই মনে করছেন তাঁরা।