যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
সোমবার বর্ধমানে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ভোট গণনায় কাউন্টিং এজেন্টদের ভূমিকা নিয়ে বৈঠক সারেন। সেখানে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী মমতাজ সঙ্ঘমিতা, বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী সুনীল মণ্ডল, কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক উত্তম সেনগুপ্ত ও উজ্জ্বল প্রামাণিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বেশিরভাগ বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য ২০টি করে টেবিল করা হয়েছে। কয়েকটি বিধানসভা কেন্দ্রে টেবিল সংখ্যা বেড়ে ২৪টি করা হয়েছে। প্রতিটি টেবিলে একজন করে কাউন্টিং এজেন্ট থাকবেন। ছাড়াও রিটার্নিং অফিসার এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসারের টেবিলে একজন করে কাউন্টিং এজেন্ট থাকবেন। এছাড়াও লোকসভা ভিত্তিক ছ’টি টেবিলে পোস্টাল ব্যালট গণনা হবে। সেখানেও গণনা কর্মী থাকবেন। সরকারি অফিসার এবং অবজার্ভার ছাড়া কাউন্টিং হলের ভিতর মোবাইল, আই-প্যাড, ল্যাপটপ সহ রেকর্ডিং করা যায় এরকম কোনও ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী এজেন্টরা সঙ্গে রাখতে পারবেন না।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্ট্রংরুম পাহারা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সেইমতো জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে ইউনিভার্সিটি ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি এবং সাধনপুরে এমবিসি ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি কলেজে দু’টি স্ট্রংরুমের বাইরে ক্যাম্প বানিয়ে পাহারা দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবার মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ দু’টি স্ট্রংরুমে যান। সারাক্ষণ ক্যাম্পে বসে পাহারা দেওয়ার নির্দেশ দেন মন্ত্রী। স্বপনবাবু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমরা দু’টি স্ট্রংরুমের বাইরে ক্যাম্প বানিয়েছি। সেখানে দলীয় কর্মীরা পাহারা দিচ্ছেন। ভোট গণনার দিনে গণনা কর্মীদের ভূমিকা কী হবে এবং তারা কখন গণনা কেন্দ্রে ঢুকবেন এসব নিয়ে এদিন পার্টি অফিসে বৈঠক করেছি। গণনা শেষ না হওয়া অবধি গণনা কেন্দ্রে এজেন্টদের থাকতে হবে। দু’টি আসনে আমাদের জয় হবেই। আমরা এব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।
আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রেও জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল কংগ্রেস স্ট্রংরুমের বাইরে ক্যাম্প অফিস করে নজরদারি চালাচ্ছে। দলের নেতা-কর্মীরা পালা করে সেখানে যাচ্ছেন। রাত জেগেও স্ট্রংরুমের দিকে শাসক দলের নেতারা নজর রাখছেন। আগামী ২৩মে’র আগে অবধি দলের কর্মীদের সুরক্ষাকর্মী হিসেবে দায়িত্বপালন করার নির্দেশ দিয়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রবোধ রায় বলেন, ক্যাম্পে আমরা সবসময় থাকছি। স্ট্রংরুম প্রেমিসেসে তিনজন আছেন। তার বাইরে ক্যাম্প আছে। বিরোধীরা পারে না এমন কোনও কাজ নেই। সেজন্য গোড়া থেকে আমরা সতর্ক। ভোট গণনা চলাকালীন কাউন্টিং হলের ভিতর এজেন্ট হিসেবে যাঁরা বসবেন তাঁদেরও দলের পক্ষ থেকে বেশকিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট গণনার জন্য আলাদা আলাদা হলে কাউন্টিং এজেন্ট থাকবেন। গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের টেবিল ছাড়তে নিষেধ করা হয়েছে।
ভোটের পর থেকে বুথওয়াড়ি রিপোর্ট সংগ্রহ করার পর আসানসোল আসন নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল কংগ্রেস। গত লোকসভা নির্বাচনে শিল্পাঞ্চলের এই কেন্দ্রে বিজেপি জয়ী হয়। এবার অবশ্য আসানসোল লোকসভা আসনটি বিজেপি-র কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস কার্যত আদাজল খেয়ে নেমেছিল। শেষমেশ ফলাফল কী হবে সেটা জানা যাবে আগামী ২৩মে। কিন্তু, শিল্পাঞ্চলের এই গুরুত্বপূর্ণ আসনের দিকে নজর গোটা রাজ্যবাসীর। সেটা বিলক্ষণ জানে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি উভয় শিবির। দুই শিবির দাবি করেছে, ভোটে জিতবে তারাই। বাবুল সুপ্রিয় এদিন ট্যুইট করে জানান, ‘আসানসোল কেন্দ্র থেকে আমি জিতবই’।