যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচন থাকায় এবার মাধ্যমিক পরীক্ষার দিনক্ষণ বেশ কিছুটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এবছর ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ২২ফেব্রুয়ারি লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়। মোটের উপর তিন মাসের মাথায় মাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশিত হচ্ছে। জেলা স্কুল শিক্ষা দপ্তর থেকে জানা গিয়েছে, এবার বাঁকুড়ায় মোট ৫১ হাজার ২২জন পরীক্ষার্থী মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছে। যা সংখ্যায় ২০১৮সালের তুলনায় ১ হাজার ৩২১ জন কম। এবার জঙ্গলমহলের এই জেলায় ২৮ হাজার ১২৩ জন ছাত্রী এবং ২২ হাজার ৮৯৯ জন ছাত্র পরীক্ষা দেয়। অর্থাৎ ছাত্রের তুলনায় এবার ছাত্রী সংখ্যা অনেকটাই বেশি। মহকুমা ভিত্তিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও এবার কিছুটা কমেছে।
এবছর বাঁকুড়া সদর মহকুমায় এবার মোট ২০ হাজার ৫৮৩ জন পরীক্ষা দেয়। তারমধ্যে ১১ হাজার ৩৭৪ জন ছাত্রী এবং ৯ হাজার ২০৯ জন ছাত্র রয়েছে। খাতড়ায় মোট পরীক্ষার্থী ১৬ হাজার ৫৬৬। তারমধ্যে ছাত্রী সংখ্যা ৯ হাজার ৬৩ এবং ছাত্র সংখ্যা ৭ হাজার ৫০৩। বিষ্ণুপুরে এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল মোট ১৩ হাজার ৮৭৩। তারমধ্যে ৭ হাজার ৬৮৬ জন ছাত্রী এবং ৬ হাজার ১৮৭ জন ছাত্র রয়েছে। এবার জেলার মোট ১১২টি কেন্দ্রে ৪৩৫টি বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষায় বসে।
জেলা স্কুল শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এদিন সকাল ১০টা থেকে বাঁকুড়া সদর মহকুমার সমস্ত বিদ্যালয়ের মার্কশিট এবং শংসাপত্র শহরের বঙ্গ বিদ্যালয় থেকে দেওয়া হবে। বিষ্ণুপুর ও খাতড়া মহকুমার ক্ষেত্রে যথাক্রমে বিষ্ণুপুর উচ্চ বিদ্যালয় এবং কংসাবতী শিশু বিদ্যালয়(উচ্চমাধ্যমিক) থেকে রেজাল্ট বিতরণ করা হবে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনুমোদিত যে কেউ সংশ্লিষ্ট স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মার্কশিট ও শংসাপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। সাধারণত সকাল থেকেই বিতরণ কেন্দ্রে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপস্থিত হন। ফলে মোটামুটি ১১টা নাগাদ বেশিরভাগ স্কুলে ফলাফল পৌঁছে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। মার্কশিট ও শংসাপত্র সুষ্ঠুভাবে বিলি করার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েকবছর ধরে বাঁকুড়ার ছাত্রছাত্রীরা মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো ফল করছে। গতবার বাঁকুড়া থেকে ১০জন মেধাতালিকায় ঠাঁই করে নেয়। তার মধ্যে ছ’জন ছাত্রী এবং চারজন ছাত্র ছিল। প্রথম দশের মেধাতালিকায় পঞ্চম স্থানে দু’জন, ষষ্ঠ স্থানে একজন, অষ্টম স্থানে চারজন, নবম স্থানে একজন এবং দশম স্থানে দু’জন স্থান পায়। তার আগের বছরগুলিতেও মেধাতালিকায় একাধিক ছাত্রছাত্রী জায়গা করে নিয়েছিল। ফলে এবারও লালমাটির এই জেলার ছাত্রছাত্রীরা ভালো ফলাফল করবে বলে শিক্ষামহল মনে করছে।
জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক বলেন, বাঁকুড়ার ছাত্রছাত্রীরা মেধাতালিকায় জায়গা করে নেওয়াকে রীতিমতো অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছে। প্রতি বছর নিয়ম করে কৃতীরা ভালো ফল করছে। এবারও ভালো ফল হবে বলে আমরা মনে করছি। জেলার সামগ্রিক ফলাফলও আগের তুলনায় ভালো হবে বলে আমরা আশাবাদী।