যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
বাসিন্দাদের দাবি, রবিবার ভোর পৌনে ৪টে নাগাদ চিচিড়া এলাকায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক পুলিস আচমকা গার্ডরেল দিয়ে আটকে দেয়। এরপর লোধাশুলিগামী একটি লরি থামায়। কিন্তু ওই লরির পিছনে জামশেদপুর থেকে আসা কলকাতাগামী পাইপ বোঝাই একটি লরি ছিল। সামনের লরিটি হঠাৎ থেমে যাওয়ায় এবং পিছনের লরিটি দ্রুত গতিতে থাকার ফলে তার পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে। পিছনের লরিটির সামনের দিকের অংশটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। লরির চালক গাড়ির মধ্যেই আটকে মারা যান।
এই ঘটনার পরই জাতীয় সড়কে যাতায়াতকারী অন্যান্য লরির চালক ও স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন। তাঁদের যাবতীয় রাগ গিয়ে পড়ে পুলিসের উপর। পুলিসদের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তুলে কলার ধরে হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ। জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ করে শুরু হয় বিক্ষোভ। পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করতে গেলে বাধা দেওয়া হয়। কয়েকটি গার্ডরেল ভাঙচুর করা হয়। পুলিসকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোঁড়াও হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, প্রতি রাতে গার্ডরেল দিয়ে জাতীয় সড়ক আটকে পুলিস তোলাবাজি করে। এর আগেও এভাবে লরি থামানোর ফলে দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। গত এক মাসে তিনজন মারা গিয়েছে। দুর্ঘটনার পর প্রতি ক্ষেত্রে পুলিস যুক্তি দেখায়, গাড়ির চালক মদ্যপ অবস্থায় বা ঘুমন্ত অবস্থায় লরি চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন।
এদিন দুর্ঘটনার পর পরিস্থিতি সামাল দিতে পরে জামবনী থানার আইসি বিশ্বজিৎ দাসের নেতৃত্বে পুলিস ঘটনাস্থলে যায়। দমকলের কর্মীরাও ঘটনাস্থলে আসেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিস নিয়মিত লরি থামিয়ে টাকা আদায় করে। টাকা না দিলে হেনস্তা করে। লরির বৈধ কাগজপত্র থাকলেও টাকা দিতে হয়। দূরপাল্লার লরির চালক মোহনলাল শর্মা, শ্যাম বসরিয়ার বলেন, লরি নিয়ে গেলেই পুলিসকে টাকা দিতে হয়। টাকা না দিতে চাইলে কেস দেওয়া হয়। বহুদিন লরি চালাচ্ছি। আগে এত উৎপাত ছিল না। গত চার পাঁচবছর ধরে পুলিসের উৎপাত খুবই বেড়েছে।
এদিন ভোর সাড়ে ৫টার পর যান চলাচল ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়। সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ গ্যাস কাটার দিয়ে মৃতদেহ বের করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ঝাড়গ্রামের পুলিস সুপার অরিজিৎ সিনহাকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, আমি বাইরে রয়েছি, অতিরিক্ত পুলিস সুপারের সঙ্গে কথা বলুন। ঝাড়গ্রামের অতিরিক্ত পুলিস সুপার বিশ্বজিৎ মাহাত বলেন, নির্বাচনের জন্য ঘটনাস্থল থেকে ১০০ মিটারের মধ্যেই আমাদের নাকা পয়েন্ট রয়েছে। জায়গাটি সীমান্তবর্তী এলাকা। পুলিসের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিস সুপার বলেন, পুলিসের বিরুদ্ধে টাকা তোলার অভিযোগ তো সবসময়েই রয়েছে। মানুষকে চেক করলেই মুশকিল। যেখানে দুর্ঘটনা ঘটছে, তাঁর কাছাকাছি পুলিস থাকলেই পুলিসের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠে।