যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে এবার ৭ লক্ষ ২৮ হাজার ৯৯৭ জন মহিলা ভোট দিয়েছেন। আর কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে ৬ লক্ষ ৭২ হাজার ৭৫৮ জন মহিলা ভোট দিয়েছেন। দুই কেন্দ্রেই মহিলারা দীর্ঘক্ষণ লাইন দিয়ে ইভিএমে বোতাম টিপেছেন। মহিলা ভোটই শাসক দলকে চিন্তা মুক্ত রাখছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নারী উন্নয়নে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী সহ একাধিক প্রকল্প এনেছেন। এতে হাজার হাজার যুবতী উপকৃত হয়েছেন। এছাড়া স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের ঋণ দেওয়া হয়েছে। ঋণ নিয়ে মহিলারা স্বনির্ভর হয়েছেন। সংসারে অনটন দূর করেছেন ওই মহিলারা। ফলে মমতাকেই উজাড় করে তাঁরা ভোট দিয়েছেন। ঘাসফুল প্রতীকে মহিলাদের সিংহভাগ ভোট পড়ায় শাসক দলের নেতারা নিশ্চিন্তে দিবানিদ্রা যাচ্ছেন।
রানাঘাটে নিহত বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের স্ত্রী রুপালি বিশ্বাস প্রচারে বেরিয়ে মহিলাদের মন জয় করেছেন। কারণ, প্রায় সব প্রচারেই রুপালি স্বামীর খুনের ঘটনা তুলেছিলেন। এই খুনের জবাব হিসেবে তিনি ভোট চেয়েছেন। তাই মহিলাদের সহানুভূতির ভোট তাঁর পক্ষেই এসেছে। এছাড়া, রুপালির সঙ্গে জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু ও রাজ্য ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী রত্না ঘোষ কার্যত ছায়ার মতো ছিলেন। ওই দুই লড়াকু মহিলা নেত্রী প্রচারে গিয়ে রুপালির জন্য ভোট চেয়েছেন। এটাও মহিলাদের মন জয় করার ক্ষেত্রে শাসক দলের প্লাস পয়েন্ট।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত বলেন, জেলার দুই কেন্দ্রেই আমাদের মহিলা প্রার্থী। ফলে মহিলাদের মন জয় করাটা আমাদের পক্ষে সহজ হয়েছে। এছাড়া, আমাদের নেত্রী নারী উন্নয়নের একাধিক প্রকল্প দিয়েছেন। সবকটি প্রকল্পই বাস্তবায়িত। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী জেলার ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছে। প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া ভোটাররা কোনওভাবেই মমতা বিপক্ষে যাবেন না। এই জেলার জন্য মুখ্যমন্ত্রী কন্যশ্রী বিশ্ববিদ্যালয় দিয়েছেন। কৃষ্ণনগর শহরেই সেই বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠছে। তাই মহিলাদের সিংহভাগ ভোট আমাদের খাতায়। দু’দিন পরে ইভিএম খুললেই তা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
বিজেপি যদিও দাবি করছে, মহিলারা এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে বিমুখ হয়েছেন। বিজেপির নদীয়া(উত্তর) জেলা সভাপতি মহাদেব সরকার বলেন, মহিলারা বিমুখ হয়েছে বলেই মমতার সভাগুলিতে মহিলারা যাচ্ছিলেন না। কৃষ্ণনগর শহরে উনি পদযাত্রা করলেন। ভিড় কোথায় হল? মমতাকে দেখার জন্য মহিলারা বাড়ি থেকেও বের হননি। এখন মহিলারা একজনকে পছন্দ করছেন, তিনি নরেন্দ্র মোদি। গ্রামীণ এলাকায় মহিলাদের এখন উনুন কাঠ কয়লায় জ্বালাতে হয় না। গ্যাসের সংযোগ মোদি ফ্রিতে দিয়েছেন। ফলে মহিলাদের ভোট এবার এসেছে আমাদের প্রতীকে। তাঁরা তৃণমূলের ক্যাম্পে গিয়েও চুপচাপ পদ্মে ছাপ মেরেছেন।