যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
হাসপাতালের সুপার ডাঃ অমিতাভ সাহা বলেন, এটি অত্যন্ত জটিল অপারেশন। এর আগে হাসপাতালে এধরনের জটিল অস্ত্রপচার হয়নি। বুক ও পেটের একসঙ্গে অস্ত্রপচার করে তিরটি বের করা হয়েছে। অনাময়ে কার্ডিও থোরাসিক অ্যান্ড ভাস্কুলার সার্জারির বহির্বিভাগের সপ্তাহে দু’দিন ছোটখাট অস্ত্রপচার হয়। শনিবার ওই বিভাগের কোনও চিকিৎসক হাসপাতালে ছিলেন না। বিভাগীয় চিকিৎসক উত্তম মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলি। তিনি রাজি হয়ে যান। কলকাতা থেকে তিনি দ্রুত চলে আসেন। তারপর অস্ত্রপচার করা হয়। অস্ত্রপচারে এই সাফল্য হাসপাতালের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করবে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাজনৈতিক সংঘর্ষে তিরবিদ্ধ হন বছর ছাপ্পান্নর সন্তোষবাবু। তাঁকে সিউড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দেখা যায়, পিঠ দিয়ে ঢুকে তিরটি বুকের ভিতর ৫-৬ ইঞ্চি ঢুকে গিয়েছে। তাতে ফুসফুসের ক্ষতি হয়েছে। মধ্যচ্ছদা ফুটো করে পাকস্থলীর কাছ পর্যন্ত পৌঁছেছে তিরের ফলা। তির বের করতে কার্ডিও থোরাসিক অ্যান্ড ভাস্কুলার সার্জারির প্রয়োজন। কিন্তু হাসপাতালে তার ব্যবস্থা নেই। সেজন্য তিরবিদ্ধকে কলকাতায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, কলকাতায় নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানোর মতো সামর্থ্য সন্তোষবাবুর পরিবারের নেই। পরিজনদের সঙ্গে বিষয়টি জানতে পেরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অনাময়ের চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ঝুঁকি থাকলেও অস্ত্রপচারে রাজি হয়ে যান অনাময়ের চিকিৎসকরা।
হাসপাতালের কার্ডিও থোরাসিক ভাস্কুলার সার্জেন উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, অনাময়ে ট্রমা সেন্টার চালু হওয়ায় পরিকাঠামোর অনেক উন্নতি হয়েছে। সেজন্য এধরনের ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রপচারের সিদ্ধান্ত নিতে পারলাম। মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের শল্য বিভাগের প্রধান রবিশঙ্কর বিশ্বাস বলেন, একই সঙ্গে বুক ও পেটের অস্ত্রপচার করতে হয়েছে। শরীরের দু’টি অংশের অস্ত্রপচার একই সঙ্গে করা ঝুঁকিপূর্ণ ও জটিল। পিঠ খুলে দিয়ে পাঁজরের ৮ নম্বর হাড়ের ভিতর দিয়ে ঢুকে অস্ত্রপচার করে তিরটি বের করা হয়েছে।