কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
গত ডিসেম্বর মাস থেকে মেয়াদ শেষের পর মেদিনীপুর পুরসভায় প্রশাসক বসানো হয়েছে। মেদিনীপুর সদর মহকুমার মহকুমা শাসককে প্রশাসক করা হয়। পরে যদিও চেয়ারম্যানকে মাথায় রেখে বোর্ড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর গঠন হয়। সেখানে মেদিনীপুরের বিধায়ক এবং প্রাক্তন চেয়ারম্যানকেও রাখা হয়েছে। রাজ্য সরকারই এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়। সেই নির্দেশ পাঠানো হয়। পুরসভার কাজে যাতে কোনওরকম খামতি না থাকে, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।
মহকুমা শাসক দীননারায়ণ ঘোষ বলেন, আমরা যত দ্রুত সম্ভব হোয়াটস অ্যাপ নম্বর চালু করছি। সেখানে ছবি সহ এলাকার বা ওয়ার্ডের নাম লিখে মানুষ সমস্যার কথা জানাবেন। পুরো কাজ তদারকির জন্য পুরসভার কর্মীদের নিয়ে একটি টিম তৈরি করা হচ্ছে। যারা এই বিষয়টি নজর রাখবে। এরপর যত দ্রুত সম্ভব সেই সমস্যার সমাধান করা হবে। গোটা শহরে আমাদেরও নজর রয়েছে। এরপরেও কিছু যদি আমরা না জানতে পারি, তার জন্যই মূলত এটা করা হচ্ছে। আশা করি, শহরবাসী এতে উপকৃত হবেন।
উল্লেখ্য, এর আগে কোন কোন রাস্তায় পানীয় জলের টিউবওয়েল খারাপ এবং আলো খারাপ সমীক্ষা চালিয়ে খুঁজে বের করেছে মেদিনীপুর পুরসভা। আর তার সঙ্গে সঙ্গেই তা মেরামত করারও কাজ করেছে। পুরসভার প্রশাসক হিসেবে মেদিনীপুর সদর মহকুমার মহকুমা শাসক দায়িত্ব নেওয়ার পরে নির্দেশে দেওয়া হচ্ছিল এই কাজের। এর আগে পুরসভার বৈঠকে প্রশাসক সাফ জানিয়ে দেন, পানীয় জল, রাস্তার আলো এবং যত্রতত্র জঞ্জাল পরে থাকার যেটুকু সমস্যা আছে, তা মেটাতেই হবে।
পুরসভার এক কর্তা বলেন, মানুষের এই প্রাথমিক পরিষেবাগুলি দেওয়ার ক্ষেত্রে পুরসভার যে যথেষ্টই খামতি রয়েছে, সে বিষয়টিও চোখে পড়ে তাঁর। এরপরেই ওয়ার্ড ধরে ধরে কত ট্যাপ খারাপ হয়ে রয়েছে, কোথায় জলের সমস্যা আছে, তা সমীক্ষা করার নির্দেশ দেন। তার কাজ অনেকাংশেই সম্পূর্ণ হয়েছে। একই সঙ্গে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের কোন কোন জায়গায় আলো জ্বলছে না বা আলোর মাধ্যমগুলি খারাপ, সে বিষয়টি নিয়ে সমীক্ষা করতে বলা হয়েছিল। সেই কাজও শেষ।
পুরসভা সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই আলোর সমীক্ষা প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। তার ভিত্তিতে কাজও হয়েছে। শহর পরিদর্শনে মহকুমা শাসক আচমকা পরিদর্শনও চালিয়েছেন। কিন্তু, তারপরেও নানা জায়গায় থেকে কাজ নিয়ে অভিযোগ আসছে। কিছু কিছু অভিযোগ নিয়ে খোদ মহাকুমা শাসককে ফোন করছেন অনেকেই। এরপরেই ঠিক হয়, সকলে যাতে সমস্যা জানাতে পারেন, তার জন্যই একটি হোয়াটস অ্যাপ নম্বর চালু করা হবে। যাতে কোনও ভুল তথ্য কেউ না দিতে পারে, সেজন্য হোয়াটস অ্যাপে ছবিও পাঠাতে বলা হচ্ছে।
পুরসভার এক কর্তা বলেন, বিভিন্ন সংবাদপত্রে হোয়াটস অ্যাপে এমন অভিযোগ জানানোর বিষয় চালু হয়েছে। সেসব দেখেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অভিযোগ জানতে বর্তমানে এই মাধ্যম অত্যন্ত কার্যকরী। নম্বরটি জানাতে এবং মানুষকে সচেতন করতে এব্যাপারে প্রয়োজনীয় প্রচারও সারা হবে।