বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল প্রায় দশটা নাগাদ ওই ছাত্রীর বাড়ির সামনে একটি জায়গায় রতন বালা নামে এক বৃদ্ধ মাটি ফেলতে আসে। সেই সময় বাড়িতে একাই ছিল ওই নাবালিকা। ছাত্রীকে দেখে ওই বৃদ্ধ বলে, তোমাদের বাড়ির বাইরেটা খুবই সুন্দর দেখতে। বাড়ির ভিতরে যে নির্মাণ কাজ চলছে তা একটু দেখতে চাই। এরপর ওই বৃদ্ধ ছাত্রীর সঙ্গে তাদের বাড়ির দ্বিতলে যায়। সেখানেই ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ ওই বৃদ্ধ ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পুলিস জানিয়েছে, ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নিগৃহীতার বাবা পেশায় একজন নির্মাণ কর্মী। কর্মসূত্রে তিনি মহারাষ্ট্রের পুনেতে থাকেন। বছর কয়েক আগে নাবালিকার মায়ের মৃত্যু হয়। পরে তাঁর বাবা ফের বিয়ে করেন। দ্বিতীয়পক্ষের স্ত্রীকে নিয়ে বর্তমানে ভিন রাজ্যে থাকেন তিনি। এদিকে, গ্রামের বাড়িতে প্রথমপক্ষের স্ত্রীর দুই কন্যা সন্তান ও বৃদ্ধা মা রয়েছেন। দুই নাতনিকে নিয়ে বাড়িতে একাই থাকতেন ওই ছাত্রীর ঠাকুমা। এদিন সকালে নির্যাতিতা নাবালিকার দিদি গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে গিয়েছিল। তাদের ঠাকুমাও বাড়িতে ছিলেন না। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ওই বৃদ্ধ ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ।
নির্যাতিতার মাসি বলেন, ঠাকুমার অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে ১৩ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করেছে ওই বৃদ্ধ। ঘটনার পর প্রতিবেশীরাই প্রথম ওই ছাত্রীকে কাঁদতে দেখেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর ছাত্রীকে চিকিৎসার জন্য বগুলা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। বিষয়টি হাঁসখালি থানাতে জানানো হয়। এদিন বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ ঘটনার তদন্তের জন্য ওই নাবালিকার বাড়িতে হাঁসখালি থানার পুলিস আধিকারিকরা আসেন। এদিকে, ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত বৃদ্ধ। তবে ওই বৃদ্ধকে মিথ্যাভাবে ফাঁসানা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার বাড়ির লোকেরা।