গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
আড়ষার সেনাবনা গ্রামে গত ১৮এপ্রিল শিশুপাল সহিস নামে এক বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার প্রায় ৪দিন পর মৃতের পরিবার আড়ষা থানায় খুনের লিখিত অভিযোগ করেন। যদিও নির্দিষ্টভাবে কারও নামে অভিযোগ করেনি মৃতের পরিবার। যদিও মৃতের পরিবার ও বিজেপির দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা শিশুপালকে খুন করেছে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজিজুও মৃত যুবকের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানান। বৃহস্পতিবার ওই গ্রামের হাটের মাঠে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর সভা হয়। সভা বেলা ১১টা নাগাদ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রায় ২ঘণ্টা পরে সভাস্থলে পৌঁছন। ছররায় কপ্টারে নামার পর সেখান থেকে গাড়িতেই সভাস্থলে আসেন বিপ্লববাবু। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী সভাস্থলে আসার সময় সভাস্থলের দু’দিকের ব্যারিকেড কার্যত অধিকাংশ জায়গায় ফাঁকা ছিল। প্রখর রোদের তাপে সমর্থকদের একাংশ হাটতলায় একাধিক গাছের ছায়ায় বসে বক্তব্য শোনেন। বিজেপির জেলা নেতারা বারবার কর্মী সমর্থকদের সভাস্থলে আসার আহ্বান জানালেও গাছের ছায়া ছেড়ে তেমন কেউ আসতে চাননি। বিপ্লববাবু সভাস্থলে পৌঁছনোর পর ব্যারিকেডের পিছনে সবমিলিয়ে চারটে সারিতে কিছু লোক বসে এবং দাঁড়িয়ে বক্তব্য শুনছিলেন।
সভাস্থলে লোক না হওয়া সত্ত্বেও ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, প্রায় ৪০ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পুরুলিয়ায় আমার জন্য যত লোক সভাস্থলে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ত্রিপুরাতেও এত লোক থাকত না। এর থেকেই স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে পুরুলিয়ার সাধারণ মানুষ তৃণমূলকে সরানোর জন্য মন স্থির করে ফেলেছেন। ২০১১সালে দিদির নেতৃত্বে ৩৫ বছরের বাম আমলের ক্যাডার রাজের পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু, দিদির আমলে ক্যাডার রাজের সঙ্গে সিন্ডিকেট রাজ এবং ভাইপো রাজ শুরু হয়েছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর হৃদয় শুধুমাত্র ভাইপোর জন্য গলে।
বিপ্লববাবু আরও বলেন, দেশের বিরোধীদের অবস্থা ঠিক বর ছাড়া বরযাত্রীর মতো। লালু, মুলায়ম কিংবা মমতাকে জিজ্ঞাসা করুন তাঁদের প্রধানমন্ত্রী মুখ কে? গোটা দেশে একমাত্র বিজেপির কাছেই প্রধানমন্ত্রী পদের যোগ্য লোক রয়েছে। পাত্রপাত্রীর বিয়ে দেওয়ার সময় তাঁদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে অনেক কিছু যাচাই করে বিয়ে দেওয়া হয়। আর গোটা দেশের ১৩০ কোটি মানুষের ভবিষ্যৎ যাচাই না করে সাধারণ মানুষ কি অন্ধকারে ভোট দেবেন?
তিনি আরও বলেন, পুরুলিয়ায় সাতজন বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছে। এর বদলা নিতে হবে ইভিএমের মাধ্যমে পদ্মফুলকে ভোট দিয়ে। পুরুলিয়ায় পদ্মফুল ফোটাতে পারলেই মৃতের আত্মা শান্তি পাবে। এদিনের সভায় মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিজেপির পুরুলিয়া জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী সভার ভিড় কম থাকার বিষয়টি কার্যত মেনে নিয়েই বলেন, ওই সভা শুধুমাত্র সেনাবনা অঞ্চলে খুনের রাজনীতির জন্য যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে তা কাটানোর জন্য করা হয়েছিল। সভায় বাইরের লোক ছিল না। শুধুমাত্র সেনাবনা অঞ্চলের লোকই ছিলেন। তাছাড়া প্রখর রোদের মধ্যে সভা হয়েছে। তা সত্বেও সভায় সন্তোষজনক উপস্থিতি ছিল। তবে পরে আমরা বড় র্যা লি করে দেখিয়ে দেব বিজেপির সভায় কত ভিড় হয়।