পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৮সালের নভেম্বর মাস। সেই সময় খেতমজুররা মজুরি বৃদ্ধির দাবি তুলে খেতের কাজ বন্ধ করে আন্দোলনে নামেন। স্থানীয় চাষিদের দাবি, ওইদিন কৃষক সভার নেতারা খেতমজুরদের পাশে দাঁড়িয়ে ইন্ধন জুগিয়েছিলেন। চাষিরাও সেই সময় শাসক দলের বিরুদ্ধে গিয়ে কিছু করে উঠতে পারছিল না। বাধ্য হয়ে গ্রামের চাষিরা এক জোট হয়ে প্রাশাসনের কাছে ডেপুটেশন দেবেন বলে ঠিক করেন। এরপর ওই বছরের ১২ নভেম্বর গ্রাম থেকে ট্রাক্টরে করে চাষিরা কালনা-১ বিডিও অফিসে ডেপুটেশন দিতে যাচ্ছিলেন। পথে ধাত্রীগ্রামের মালতিপুরের কাছে ফাঁকা রাস্তায় একটি বড় ট্রাক এসে পিছন থেকে ধাক্কা মারে ওই ট্রাক্টরটিকে। চাষিদের ওই ট্রাক্টরটি রাস্তার পাশে উল্টে যায়। ঘটনায় ১১ জন চাষির মৃত্যু হয়। এরমধ্যে ১০জন সূর্যপুরের বাসিন্দা। মৃতদের পরিবারের দাবি, এটি দুর্ঘটনা ছিল না। ঘটনার পিছনে চক্রান্ত ছিল। সেই সময় বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেস মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ায়। সূর্যপুর গ্রামে তৈরি হয় শহিদ বেদি। ওই ঘটনার পর থেকে ভোট এলেই সূর্যপুরের ওই মৃতদের পরিবারের অধিকাংশ তৃণমূলের হয়ে বাম বিরোধিতায় প্রচারে নামেন। এবারও লোকসভা ভোটে তৃণমূলের হয়ে প্রচারে নেমেছেন শহিদ পরিবারের লোকজন।
কালনা-১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি উমাশঙ্কর সিংহরায় বলেন, ওইদিন আমারও এক নিকট আত্মীয়কে হারাতে হয়েছে। খেত মজুরদের উস্কে দিয়ে সিপিএমের কৃষকসভা চাষিদের জব্দ করার রাস্তায় নেমেছিল। ওই দিনের ঘটনার পিছনে চক্রান্ত ছিল। মৃতদের পরিবারের লোকেরা আজও সেই স্মৃতি ভুলতে পারেননি। ভোট প্রচারে মৃতদের পরিবারের লোকেরা আমাদের হয়ে ভোট প্রচারে শামিল হয়ে রাস্তায় নেমেছেন। উন্নয়নের প্রচারের পাশাপাশি সেইদিনের ঘটনাকেও প্রচারে তুলে ধরা হচ্ছে।
কালনা-১ ব্লকের সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক সুকুল শিকদার বলেন, সেদিনের ঘটনা নিছকই দুর্ঘটনা ছিল। কোনও রাজনীতি ছিল না। আমরাও সেদিনের ঘটনায় মর্মাহত। কেউ তা নিয়ে রাজনীতি করলে কিছুই বলার নেই। আমরা গ্রামে গ্রামে কৃষকদের দাবি, সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা ও বেকারত্ব নিয়ে মানুষের কাছে প্রচার চালাচ্ছি। মানুষের মধ্যে ভালো সাড়া পাচ্ছি।