বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বুধবার ফের বাঘমুণ্ডি বিধানসভা এলাকার মাঠায় সভা করেন শান্তনু সেন। সভায় শান্তনুবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি প্রতিমা সোরেন, জেলা পরিষদের মেন্টর অঘোর হেমব্রম, তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলা সম্পাদক দিব্যজ্যোতি প্রসাদ সিংদেও, জেলা যুব সভাপতি সুশান্ত মাহাত প্রমুখ।
এদিনের সভায় শান্তনুবাবু বলেন, মাঠা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা সহ গোটা পুরুলিয়া জেলায় বিজেপি সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে কিছু এলাকায় ভালো ফলাফল করতে পেরেছিল। তবে সাধারণ মানুষ নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে প্রতিদিনই তৃণমূলে ফিরে আসছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহ ওর দলের বহু নেতা হেলিকপ্টারে করে টাকা ভর্তি ট্রাঙ্ক নিয়ে এসে ওই টাকা বিলিয়ে জঙ্গলমহলে ভোটে জিততে চাইছে। এলাকার আদিবাসী তথা সাধারণ মানুষকে বলব বিজেপি টাকা দিতে এলে ওই টাকা নিয়ে নিন, কিন্তু ভোটটা ভুলেও বিজেপিকে দেবেন না। কারণ, একদিনের টাকায় সারাবছর বিভিন্ন বিপদে আপদে ভালো থাকা সম্ভব নয়। বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের সমস্যা দূর করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি আরও বলেন, বাম, কংগ্রেস ও বিজেপি ভাঁওতা দেওয়া ছাড়া আর কিছু করতে পারবে না। এদিনের সভায় মাঠার প্রত্যন্ত এলাকাগুলি থেকে বহু আদিবাসী সভায় যোগদেন। আদিবাসী নাচের দলের সদস্যদের থেকে ধমসা নিয়ে নিজেও বাজাতে শুরু করেন শান্তনুবাবু। ধামসা বাজাতে বাজাতেই সভায় উপস্থিত আদিবাসীদের থেকে রাজ্য সরকারের একের পর এক প্রকল্পের সুবিধা এলাকার মানুষ পেয়েছেন কি না তিনি জানতে চান।
এদিনের সভায় তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলা সম্পাদক দিব্যজ্যোতি প্রসাদ সিংদেও বলেন, ২০১১ সালের আগে জঙ্গলমহল এলাকার সাধারণ মানুষের কী অবস্থা ছিল, আর বর্তমানে কী অবস্থা তা নিজেদের ভাবার সময় এসেছে। বিজেপির অপ্রচার শুনে বিজেপির সঙ্গে থাকবেন নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সঙ্গে, তা নিজেদেরই ঠিক করতে হবে।
পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি প্রতিমা সোরেন সাঁওতালি ভাষায় বলেন, গত সাত বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদিবাসীদের সম্মান দেওয়ার পাশাপাশি যে উন্নয়ন করেছেন তা কোনও রাজ্য সরকার আদিবাসীদের জন্য করতে পারেননি।
এদিনের সভায় বাঘমুণ্ডি পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সদস্যা পাবর্তী সিংসর্দার কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। একই সঙ্গে মাঠা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন বুথ থেকে বিভিন্ন দল ছেড়ে মোট ৩৫০জন তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন শান্তনু সেন সহ জেলা তৃণমূলের নেতারা। মাঠা গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে খারাপ ফলাফলের পর এদিনের যোগদান যথেষ্ট গুরত্বপূর্ণ বলে জানান তৃণমূলের বাঘমুণ্ডি বিধানসভার পর্যবেক্ষক সুশান্ত মাহাত। বাঘমুণ্ডি ব্লক কংগ্রেস সভাপতি বিভূতি মাহাত বলেন, যোগদানের বিষয়ে কিছু জানি না।
এদিন মাঠার সভার পর ধাদকি থেকে পুঞ্চা পর্যন্ত শাসকদলের ডাকে মহামিছিলে যোগ দেন শান্তনুবাবু। সেখানে পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু, পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মৃগাঙ্ক মাহাত সহ জেলা নেতারা উপস্থিত ছিলেন।