গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
পুরসভার জল দপ্তরের মেয়র পরিষদ সদস্যদের দাবি, নির্বাচনের আগে জলের দাবিতে বিক্ষোভ করার পেছনে সিপিএম-এর হাত রয়েছে। যদিও সিপিএম ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
হাডকো মোড় এলাকায় একটি সরকারি আবাসনে প্রায় ১৬২টি পরিবার বসবাস করে। তাঁদের অভিযোগ, ১৫বছর ধরে ওই আবাসনে পানীয়জলের সমস্যা রয়েছে। গ্রীষ্মকালে এই সমস্যা চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। তাঁদের দাবি, একাধিকবার স্থানীয় কাউন্সিলারকে অভিযোগ জানিয়েও কোন সুরাহা হয়নি। তাই এদিন সকালে তাঁরা এসএসবি সরণী অবরোধ করে খালি বালতি নিয়ে জলের দাবিতে রাস্তায় বসে যান। অবরোধের ফলে রাস্তায় যানযটের সৃষ্টি হয়। তারফলে অনেকেই দুর্ভোগে পড়েন। ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় ২৭নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ছবি নন্দী ঘটনাস্থলে যান। তাঁকে ঘিরে অবরোধকারীরা বিক্ষোভ দেখান। ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারি দেন। জলদপ্তরে মেয়র পারিষদ পবিত্র চট্টোপাধ্যায় গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। প্রায় এক ঘণ্টা পর বিক্ষোভ উঠে।
অবরোধকারীদের পক্ষে পিঙ্কি বাসমল, টুসি মুখোপাধ্যায়, ইসাকুমারী রজক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা পানীয়জল ও বাড়ির কাছে ব্যবহারের জন্য জল সমস্যায় ভুগছি। প্রশাসন ও পুরসভা গোটা বিষয়টি নিয়ে একেবারে নির্বিকার। জলের সমস্যা না মিটলে আগামীদিনে আমরা ভোট বয়কট করব। মেয়র পারিষদ পবিত্রবাবু বলেন, ওই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আগামী ২৯তারিখ ভোট। তার আগে জল নিয়ে এখানে রাজনীতি করছে সিপিএম।
পশ্চিম বর্ধমান জেলার সিপিএমের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, সিপিএমকে দূরবিন দিয়েও খুঁজে পাওয়া যায় না বলে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন। তাহলে এখানে সিপিএম এল কোথা থেকে? ওই এলাকায় জলের সমস্যা ছিল। আমরা গ্রীষ্মকালে জলের সমস্যা মেটাতে অতিরিক্ত জলের পরিষেবা দিতাম। এখন পুরসভা ঠিকমতো কাজ করছে না। মানুষের পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে তারা ব্যর্থ। তাই মানুষ রাস্তায় নেমেছেন।