বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
আসলে বাদশা হল সাত মাসের একটি হুনুমান শিশু। অণ্ডালে রোড শো করতে গিয়ে তাকে প্রথম দেখেছিলেন মুনমুন সেন। সেই থেকে বাদশার প্রতি টান পড়ে যায় তাঁর। এমনকী, অণ্ডালের দক্ষিণখণ্ডে একটি কর্মিসভায় মঞ্চে তুলে তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দেখা যায় তৃণমূল প্রার্থীকে। দুই মেয়ে ভোট প্রচারে আসার পর তাঁদেরও তিনি বাদশার কথা বলেছিলেন। এরপরেই সোমবার রাতে বাদশার ‘অভিভাবক’ বাঘা পাণ্ডেকে ফোন করে হোটেলে ডেকে পাঠানো হয়। সেইমতো বাঘাবাবু তাকে হোটেলে নিয়ে হাজির হন। ছবি তোলার পাশাপাশি রিয়া তাকে নিজের হাতে বোতলে দুধ খাওয়ান। আবার কখনও খুনসুটি করতে করতে বাদশা রাইমার চুল ধরে টানতে থাকে।
বাঘাবাবু বলেন, জন্মের পরেই বাদশার মা মারা যায়। দুর্গাপুজোর সময় হনুমান শিশুটি গ্রামের এক জায়গায় পড়েছিল। সেখান থেকে তুলে এনে তার যত্ন শুরু করি। প্রতিদিনই ওকে ভালোভাবে স্নান করিয়ে দিই। ওর নখ ধারালো নয়। ও দুধ ছাড়া অন্য কিছু খায় না। এমনকী, জামা পরে থাকতেই ও বেশি পছন্দ করে। তবে ইচ্ছা না হলে জামা খুলে দেয়। কয়েকদিন আগে মুনমুন সেন আমাদের এলাকায় প্রচার করতে গিয়েছিলেন। আমি বাদশাকে নিয়েই সভায় এসেছিলাম। দূর থেকে দেখেই তাঁকে তৃণমূল প্রার্থীর ভালো লেগে যায়। তিনি তখন থেকেই তাকে কোলে নিয়ে আদর করতে থাকেন। তৃণমূল প্রার্থী সেই সময়ই বলেছিলেন, কয়েক দিন পর তাঁর দুই মেয়ে আসবেন। তাঁদের দেখানোর জন্য বাদশাকে যেন হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। বাঘাবাবু আরও বলেন, মঙ্গলবার প্রায় দু’ঘণ্টা বাদশা হোটেলে ছিল। তাকে কোলে তুলে রিয়া এবং রাইমা আদর করেন। ছবিও তোলেন।
একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, মুনমুনদেবী তাকে কোলে নিয়ে মেয়েদের রুমে ঢুকছেন। তার দিকে প্রথমে একটি চকোলেট এগিয়ে দেন রিয়া। কিন্তু, সেটা তার পছন্দ হয়নি। মুখে নিয়েই ফেলে দেয়। এরপরেই রাইমা তাকে বাদশা নাম ধরে কাছে ডাকেন। তা শুনেই সে তারকার পাশে বসে যায়। রাইমার চুল ধরে সে টানাটানি করতে থাকে। সেই সময় মুনমুন সেনকে বলতে শোনা যায়, বাদশা আমার মেয়ের চুল ছাড়। আবার তাকে কোলে তুলে মুনমুনদেবী আদর করতে থাকেন। দু’ঘণ্টাতেই বাদশা যেন সেন পরিবারের আপনজন হয়ে ওঠে। তাই যাওয়ার আগে আবার তাকে দেখা করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিন সেলিব্রিটি।