বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
তৃণমূল শাসনের গুন্ডারাজ প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুরুদেবের স্বপ্ন ছিল ভয় না পেয়ে মাথা উঁচু করে চলার। সেখানে অন্যদেশ থেকে আনা অনুপ্রবেশকারীদের বসিয়ে বোমা বানানোর সুযোগ করে দিয়েছে তৃণমূল। এখানে সরস্বতী পুজো, দুর্গা পুজো, রামনবমী ভয়ে ভয়ে করতে হয়। সবক্ষেত্রেই রয়েছে সিন্ডিকেট রাজ। অথচ গুরুদেব তা কল্পনাও করেননি।
মাত্র দু’দিন আগে বীরভূমে দলীয় প্রার্থীর প্রচারে এসে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ বলেছিলেন, শান্তিনিকেতন কবিগুরুর জন্মস্থান। তানিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। এরপর স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বীরভূমে প্রচারে এসে শান্তিনিকেতনে গুন্ডারাজ চলছে বলে মন্তব্য করায় বিভিন্ন মহলে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। প্রচারে এসে কবিগুরুর নাম নিলেও বছর পনেরো আগে শান্তিনিকেতন থেকে নোবেল চুরি যাওয়া প্রসঙ্গে একটি শব্দও খরচ করেননি প্রধানমন্ত্রী। এমনকী কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই দীর্ঘদিন তদন্ত চালিয়েও কবিগুরুর নোবেল পুরস্কারের পদকটি উদ্ধার করতে না পারা নিয়ে কোনও কথা বলেননি। যদিও তাঁর বিদেশ যাত্রার সাফল্য বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, আগে এ দেশের বহু মূর্তি চুরি হয়েছে। তা বিদেশে চলে গিয়েছে। মোদি ক্ষমতায় আসার পরে কূটনৈতিক সম্পর্কের জেরে বহু মূর্তি বিদেশ থেকে দেশে ফেরত এসেছে।
আর এসব নিয়েই শান্তিনিকেতনে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। শান্তিনিকেতনের প্রবীণ আশ্রমিক তথা ঠাকুর পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর বলেন, আমি মনে করি না শান্তিনিকেতন পর্যটন বাড়ানোর জায়গা। বরং পর্যটনের জন্য অনেক সময় আমাদের সংস্কৃতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক কথা নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না।
যদিও শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সাম্মানিক সম্পাদক অনিল কোনার বলেন, কবিগুরুর শান্তিনিকেতন অশান্ত হয়ে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একথা কাম্য নয়। পর্যটন ক্ষেত্রে এখানকার যথেষ্ঠ উন্নতি হয়েছে। তাই প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক এখানে আসেন।
তবে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যর সমালোচনা করেছেন বিশ্বভারতীর কর্মিসভার সভাপতি গগন সরকার। তিনি বলেন, তিনি শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, তিনি বিশ্বভারতীর আচার্য। তিনি কী করে বলেন শান্তিনিকেতন অশান্ত হয়ে গিয়েছে? তাহলে তো তাঁকেই আগে পদত্যাগ করতে হয়। এখানে পর্যটনেরও যথেষ্ঠ উন্নতি হয়েছে। তাই দেশ বিদেশ থেকে পর্যটকরা আসেন।
এদিন ইলামবাজারের কামারপাড়া মাঠে নির্ধারিত সময়ের কিছু পরেই নরেন্দ্র মোদি সভাস্থলে আসনে। তার আগেই মাঠ কানায় কানায় ভর্তি ছিল। কৈলাস বিজয়বর্গীয় সহ রাজ্যে বিজেপির বহু প্রথম সারির নেতা সহ জেলার নেতারা হাজির ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলার ভালোবাসার আশীর্বাদ আমার জীবনে নতুন শক্তি দিয়েছে। আমি কৃতজ্ঞ। দিদি বুঝতে পেরে গেছে যত অসুবিধা তৈরি করবে ততধিক শক্তির সাথে পদ্ম ফুটবে। যখন দিদির সিংহাসন নড়ছে তখন দিদি ও তার গুন্ডারা চিৎকার করছে। আমি এখানকার গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষকে বলছি দৃঢ়তার সাথে দাঁড়িয়ে থাকুন। গোটা বাংলা আপনাদের পাশে আছে।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বিদেশ সফরের সাফল্য নিয়ে বলেন, সৌদি আরব থেকে আটশো-র বেশী ভারতীয়কে কয়েকদিনে ছাড়িয়ে আনতে পেরেছি। আবধাবি মোদিকে পুরস্কার দিয়েছে, দেশকে সম্মান দিয়েছে। এখন দেশের মানুষের আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি হচ্ছে। সংখ্যালঘু মুসলমানদের উন্নতি হয়েছে। তাই তো তাদের মধ্যে হজে যেতে চাওয়ার সংখ্যা বেড়েছে। সৌদির আরবের কাছে আবেদন করেছিলাম, তাঁরা যাত্রীর কোটা ২ লাখ বাড়িয়ে দিয়েছে। আরব আমিরশাহীর সাথে সম্পর্কের এমনই উন্নতি করছি যে সেখানেও মন্দির বানাচ্ছে। এই বাংলারই মেয়ে জরিক ডি’সুজাকে অপহরণ করা হয়েছিল আফগানিস্থানে। কূটনেতিক আলোচনার ও সম্পর্কের জেরে তাকে বাংলায় ফেরত এনেছি। এ সবই হয়েছে বিদেশের সাথে চৌকিদারের বন্ধুত্বের জন্যই।