পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
অন্যদিকে, বাম আমলের শিক্ষা ও শিক্ষার পরিকাঠামোর বিষয়ে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, বাম আমলে প্রতিটি শিক্ষাক্ষেত্র রাজনীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছিল। তৃণমূল আমলে শিক্ষকরা তাঁদের যোগ্য সম্মান পেয়েছেন। আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের ফলে শিক্ষাক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীরাও নানা সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। এদিনের সভায় বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউরি, পুরসভার চেয়ারম্যান ভবেশ চট্টোপাধ্যায় ও জেলা শিক্ষা সেলের কার্যকারী সভাপতি প্রকাশ সিং দেও উপস্থিত ছিলেন।
রঘুনাথপুর থেকে প্রার্থী নিতুড়িয়া ব্লকের রায়বাঁধ ও গুনিয়াড়া ও শালতোড় পঞ্চায়েত এলাকায় হুডখোলা গাড়িতে প্রচার সারেন। রায়বাঁধ এলাকায় তৃণমূল প্রার্থী পৌঁছতেই মহিলারা পুষ্প বৃষ্টি করতে থাকেন। রায়বাঁধ এলাকার পর প্রার্থী কর্মী সমর্থকদের নিয়ে গুনিয়াড়া এলাকায় রোড শো করেন। প্রচার শেষে বাম আমলে সিপিএমের হার্মাদ বাহিনীর হাতে খুন হওয়া তিন শহিদের স্মৃতি বেদিতে মাল্যদান করেন। তবে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অমান্য করে এদিন তৃণমূলের বাইক মিছিলে বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
যদিও সুব্রতবাবু বলেন, আমাদের প্রচারের সময় কোনও বাইক মিছিল করা হয়নি। যে বাইকগুলি এসেছিল সেগুলি আমাদের দলের নয়। নিতুড়িয়ার রোড শোতে নিতুড়িয়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি শান্তিভূষণ প্রসাদ যাদব, ব্লক মহিলা সভানেত্রী সরিতা তুরি ও জেলা কো-মেন্টর জয় বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। এদিন সুব্রতবাবু নিতুড়িয়ার পাশাপাশি সাঁতুড়ি ব্লকের মুসলিম অধ্যুষিত মুরুলিয়া গ্রামেও প্রচার সারেন।
ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার এদিন বাঁকুড়া-২ ব্লকের জুনবেদিয়া, মানকানালি ও পুরন্দরপুর অঞ্চলের একাধিক গ্রামে রোড শো করেন। সুভাষবাবু এদিন বাঁকুড়া শহরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিড়ি শ্রমিকদের সঙ্গে জনসংযোগ কর্মসূচি সারেন। এদিকে, নদীয়ার নিখোঁজ আধিকারিককে খুঁজে বের করার দাবিতে এদিন শহরের স্টেশন মোড়ে বিজেপি-র যুব মোর্চার বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সুভাষবাবু যোগ দেন।
বাঁকুড়ার সিপিএম প্রার্থী অমিয় পাত্র দিনভর শালতোড়া ব্লকের একাধিক গ্রামে প্রচার করেন। আজ, বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে সিপিএমের তরফে মহামিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। এদিন সকাল ৯টা নাগাদ বাঁকুড়া শহরের পাঁচবাগা থেকে মিছিল শুরু হয়ে মাচানতলায় শেষ হবে। ওই মিছিলে দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র এবং প্রাক্তন সংসদ সদস্য বাসুদেব আচারিয়া উপস্থিত থাকবেন।
বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শ্যামল সাঁতরা এদিন গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের একাধিক পঞ্চায়েতে চুটিয়ে প্রচার সারেন। সকালে তিনি গঙ্গাজলঘাটিতে পদযাত্রা করেন। পরে পিড়রাবনি, জামবেদিয়া, শালবেদিয়া সহ কয়েকটি জায়গায় সভা করেন। প্রার্থীর সঙ্গে ছিলেন বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল কোর কমিটির সদস্য তথা জেলা পরিষদের মেন্টর অরূপ চক্রবর্তী। অরূপবাবু বলেন, গত লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে আমি জঙ্গলমহলের দায়িত্বে ছিলাম। দু’দিন আগে দলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বিষ্ণুপুর লোকসভার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য আমাকে এবং জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে নির্দেশ দিয়েছেন। দলনেত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পরেই আমরা মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর বিষ্ণুপুর শহরের তিনটি ওয়ার্ডে সভা করি। এদিন গঙ্গাজলঘাটিতে প্রার্থীকে নিয়ে প্রচার করা হয়েছে। ভোটের আগে দলের নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা করতে সবরকম প্রয়াস চালানো হচ্ছে।
ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁয়ের স্ত্রী সুজাতা খাঁ এদিন জয়পুর ও ইন্দাসে প্রচার করেন। এদিন সকালে তিনি দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে জয়পুর বাজারে পদযাত্রা করেন। পরে এদিন দুপুরে ইন্দাসে তিনি একটি কর্মী সভা করেন। সভায় শাসকদলের তীব্র সমালোচনা করেন। অন্যদিকে, এদিন সিপিএমের প্রার্থী সুনীল খাঁ পাত্রসায়রের বিভিন্ন এলাকায় প্রচার করেন।