কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
মঙ্গলবার ভোট দিয়ে ফেরার পথে বুথের অদূরেই রানিতলা থানার বালিগ্রামে খুন হন টিয়ারুল শেখ। টিয়ারুলের বড় মেয়ে তাজমিরা বিবির বড় মেয়ে বছর দশেকের ফুলসুরা। স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী সে। ওইদিন দাদু ও মামার সঙ্গে বালিগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে গিয়েছিল ফুলসুরা। দাদুর ভোট দেওয়া হলেও মামা মহাতাব শেখ ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাই দাদুর সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরছিল নাতনি ফুলসুরা। বুধবার সকালে দাদুর বাড়িতে পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়দের ভিড়েও কেমন যেন আতঙ্ক ও ঘোরের মধ্যে ছিল ছোট্ট ফুলসুরা।
কী হয়েছিল জিজ্ঞাসা করতেই মুখের দিকে মিনিট খানেক ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে রইল সে। পাশে বসে থাকা মাসি হীরা বিবি কী হয়েছিল বল বলতেই ফুলসুরা কিছুটা ধাতস্ত হয়ে বলল, আমি আর দাদু বাড়ি আসছিলাম। তখন লালু শেখ, তাহাজুল শেখ, সাবিরুল শেখ সহ ১০-১২জন দাদুকে ঘিরে ধরে হাঁসুয়া দিয়ে কোপাতে শুরু করে। আমি চিৎকার করলে আমাকেও লাঠি দিয়ে মারে। দাদু রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়লে ওরা পালিয়ে যায়। আমার চিৎকার শুনে ভোটের লাইন থেকে মামা এবং আরও অনেকে ছুটে আসে। দাদুর পেটটা একেবারে কেটে দিয়েছিল। কাপড় দিয়ে বেঁধেও রক্ত থামছিল ন। বলতে বলতে আবার গুম মেরে গেল ছোট্ট ফুলসুরা।