পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিষয়টি নিয়ে জেলাজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে একদিন আগেই যেখানে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পাশের জেলায় খুনের ঘটনা ঘটেছে। তাই এই মিছিল ঘিরে জেলায় উত্তেজনা ছড়ায়। এদিনই জেলায় এসেছিলেন নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক। ফলে বিষয়টি আরও গুরুতর হয়ে ওঠে। এদিকে তখন বোলপুরের অদূরে ইলামবাজারে চলছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভা। সেই সভা থেকেই বিজেপি ইস্যুটিকে হাতিয়ার করে তৃণমূলকে আক্রমণ শুরু করে। বিজেপির জেলা সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়ে গিয়েছেন। তাই এখন দুষ্কৃতী বাহিনী তৈরি করে রাস্তায় নামাচ্ছেন। তারা অস্ত্র মিছিল করছে।
সাঁইথিয়ার বিডিও সাথী দত্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, বাইক মিছিলের অনুমতি ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখতে হবে। তবে অস্ত্র মিছিলের কোনও বিষয় আমার নজরে নেই। এখনও কোনও অভিযোগ পায়নি। তবে পুলিসকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলব। সিউড়ি সদরের মহকুমা শাসক রাজীব মণ্ডল বলেন, জেলাশাসকের নির্দেশে পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
সাঁইথিয়ার ব্লক সভাপতি সাবের আলি বলেন, আমরা এদিন ছ’টি অঞ্চলে বাইক মিছিল করেছি। আট হাজার বাইক মিছিলের অনুমতি নিয়েছি। কিন্তু, তৃণমূলের লোকজন কোনও অস্ত্র মিছিল করেনি। আমার অস্ত্র মিছিলের বিষয়টি জানা নেই। তবে যদি কেউ তা করে থাকে, দলকে বদনাম করার জন্য বিরোধীরাই তা করিয়েছে। তৃণমূল জেলা সম্পাদক দেবাশিস সাহা বলেন, পুরো বিষয়টি ভুয়ো। আমাদের এলাকায় এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি।
জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রথীন সেন বলেন, এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। পুরো বিষয়টি কমিশনের দেখা উচিত। বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য শান্তনু রায় বলেন, মানুষকে ভয় দেখিয়ে রাখা যাবে না। তৃণমূলের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে, তাই এসব করছে।
২০১৬ তে সাঁইথিয়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে লক্ষাধিক ভোটে জয়ী হয়ে বিধায়ক হয়েছেন তৃণমূলের নীলাবতী সাহা। জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এবারও ব্লক ধরে লিডের মার্জিন বেঁধে দিয়েছেন। কিন্তু, এই বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ছ’টি অঞ্চলে শাসক দলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ বারবার প্রকাশ্যে এসেছে। ভোটের কয়েকমাস আগে মাঠপলসায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছিল। কিছুদিন আগে সাঁইথিয়া থানায় বাড়ি লুটপাট ও বোমাবাজির ঘটনাতেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আঁচ পাওয়া গিয়েছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লক সভাপতির অনুগামীরা নিজেদের শক্তি প্রদর্শনের উদ্দেশ্যেই একসঙ্গে ছ’টি অঞ্চলে পৃথক পৃথক বাইক মিছিলের আয়োজন করে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী নরেন্দ্র মোদির সভার দিনেই প্রতি অঞ্চলে বাইক মিছিল শুরু হয়।