গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
মঞ্চে এসেই এই যুবনেতা বিজেপিকে একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকেন। মানুষের অপেক্ষা করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তীব্র গরমে মানুষ রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন। কারণ তাঁরা মনস্থির করে ফেলেছেন বিজেপিকে সরিয়ে ফেলতে হবে। বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা দিনদিন আকাশছোঁয়া হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে বিরোধীদের কটাক্ষ করে তিনি বলেন, দেখবি আর জ্বলবি, লুচির মতো ফুলবি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থীরা ৪২ এ ৪২ আসনে জিতবে। তার মধ্যে বোলপুর ও বীরভূম অন্যতম। এরপরে অভিষেক সুর চড়িয়ে বলেন, সব রাজনৈতিক দলকে বিজেপি নানাভাবে ভয় দেখিয়ে বাড়িতে ঢুকিয়ে রেখেছে। কাউকে ইডি দেখিয়ে, কাউকে সিবিআই দেখিয়ে, কাউকে চোখ রাঙিয়ে আত্মসমর্পণ করিয়েছে। একমাত্র তৃণমূল নেত্রী বাংলার মানুষের স্বার্থে নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের বশ্যতা স্বীকার করেননি। ভারতবর্ষের বাকি রাজ্যে অনেকে অর্থের বিনিময়ে গেরুয়া হলেও বাংলা কোনওদিন গেরুয়া হবে না। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর বলেছিলেন আচ্ছে দিন আয়েগা। কিন্তু তার বদলে এসেছে মূল্যবৃদ্ধি।
এরপর তিনি বলেন, মানুষকে যে যখনই ঠকিয়েছে, ছদ্মবেশ ধারণ করে ঠকিয়েছে। পুরানে দেখেছি, রাবণ সীতাকে অপহরণ করে লঙ্কায় নিয়ে যেতে সাধুর বেশ ধরেছিল। মারিচ এসেছিল হরিণ বেশে। তেমনি দেশকে ধ্বংস করতে চোরেরা এসেছে চৌকিদারের বেশে। এই চৌকিদারদের আগামীদিন ভারত ছাড়া করতে হবে আমাদের। নরেন্দ্র মোদির আচ্ছে দিন আসেনি, তার বদলে এসেছে দিল্লিতে ১২০০ কোটি টাকার পার্টি অফিস। উনি বলেছিলেন তিনি চা বিক্রি করেন। কিন্তু আমরা তাকে কোনওদিন কেটলি হাতে দেখিনি। কোনওদিন চৌকিদারি করতেও দেখিনি। কিন্তু বাংলায় আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টালির ঘরে বসে উন্নয়ন করতে দেখেছি।
গো-রক্ষার কথা তুলে কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, ২০১৪ সালে যে গোরু মোদিকে দুধ দিয়েছিল, ২০১৯ সালে ওই গোরুই গোবর লেপে দেবে। জনসাধারণকে উদ্দেশ করে যুব নেতা বলেন, তৃণমূলকে সমর্থন করে এমনভাবে ভোটের দিন বোতাম টিপুন যেন দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদি সরকারের কোমর ভেঙে যায়। একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পারেন এদের ক্ষমতা থেকে সরাতে। আর কেউ পারবে না। ২৩ মে তৃণমূলের ব্যবধান যখন বাড়বে, তখন বুঝবেন নরেন্দ্র মোদির ইস্তফাপত্র রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছে যাচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন একটা ধর্ম নিরপেক্ষ সরকার গঠনে।
ইমামদের ভাতা দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করের টাকায় ইমাম ভাতা, মোয়াজ্জেম ভাতা দেননি। দিয়েছেন ওয়াকফের টাকায়। যে টাকার একমাত্র অধিকার মুসলিমদের। করের টাকায় তিনি কন্যাশ্রী, যুবশ্রী দিয়েছেন।
বিজেপিকে কটাক্ষ করে তিনি আরও বলেন, আগে চুরি করলে জেলে যেত শ্রীঘরে যেত, এখন চুরি করলে, ডাকাতি করলে বিজেপিতে যাচ্ছে। যত ইচ্ছা গদ্দারি করো, দু-নম্বরি করো বিজেপিতে চলে যাও। বিজেপির এমনই জাদু যে চোর যোগদান করলে সে সাধু। এদিন সভামঞ্চ থেকে বোলপুর কেন্দ্রের প্রার্থী অসিত মালকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করার আবেদন জানান অভিষেক।