বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
তিনি বলেন, বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে যিনি বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন, তিনি দার্জিলিংয়ের সংসদ সদস্য ছিলেন। বাংলাকে ভাগ করতে চেয়েছিলেন। তাই তাঁকে একটিও ভোট নয়। তাঁকে দার্জিলিংয়ে দেখাই যায়নি। তিনি এখানে আসা মানে দুর্গাপুর অশান্ত হয়ে উঠবে।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, অরূপবাবু এর আগে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্র ধরে ধরে প্রচার করেছেন। কোথাও রোড শো, আবার কোথাও কর্মিসভা করে তিনি দলের কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা করে দিয়েছেন। দলের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে দফায়-দফায় তিনি সেখানে বৈঠকও করেছেন। আসানসোলের পর এবার তিনি একইভাবে দুর্গাপুরে প্রচার শুরু করেছেন। সিটি সেন্টারের বিদিশা এলাকা থেকে রোড-শো শুরু করেন। চণ্ডীদাস মার্কেট, ভারতী মোড়, তানসেন মোড়, জেসি বোস, নিউটন, বিদ্যাসাগর রোড, সেক্টর মার্কেট, আশিস মার্কেট, সেকেন্ডারি মোড় সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রচার করেছেন। রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনদের হাত নাড়িয়ে, কখনও জোড় হাত করে ওই হেভিওয়েট নেতা দলের প্রার্থীকে জয়ী করার আহ্বান জানান। প্রচার কর্মসূচিতে দলের প্রার্থী মমতাজ সঙ্ঘমিতাও অংশগ্রহণ করেছিলেন।
তৃণমূল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই শহরে উন্নয়নই রাজ্যের শাসক দলের কাছে প্রধান ইস্যু। ইস্পাতনগরীর প্রতিটি এলাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। রাস্তা সংস্কার, পথবাতি বসানো ছাড়াও শহরের বাসিন্দাদের বহুদিনের দাবি মেনে তামলা খাল সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। দুর্গাপুর জলাধারও সংস্কারের কাজ চলছে। এই বিষয়গুলিকে সামনে রেখেই তৃণমূল বাড়িতে বাড়িতে প্রচার শুরু করেছে। ইতিমধ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডে দলের কর্মীরা বৈঠকও করেছেন। এবার শেষ লগ্নে প্রচারে এসে অরূপবাবু ঝড় তুলে গেলেন। তিনি বলেন, একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই উন্নয়ন করতে জানেন। তাঁকে আপনারা দিল্লিতে পাঠান। তিনি দেশজুড়ে প্রকৃত উন্নয়ন করবেন। এখন আর মেয়েদের পড়াশোনার জন্য অভিভাবকদের চিন্তা করতে হয় না। তিনি কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু করেছেন। স্কুলে যাওয়ার জন্য সবুজ সাথী প্রকল্পে সাইকেল দিচ্ছেন। আবার বিয়ের বয়স হলে রূপশ্রী প্রকল্পে সাহায্য করা হচ্ছে। বাংলাজুড়ে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিলে তিনি তা রাখেন। আর নরেন্দ্র মোদি কোনও প্রতিশ্রুতিই রাখেন না। তিনি বলেছিলেন সবার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। কালো টাকা বিদেশ থেকে ফেরানো হবে। কোথায় গেল সেসব? কেউ অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা পায়নি। বছরে দু’কোটি চাকরিও পায়নি। তাই এবারের নির্বাচনে আপনাদের এসবের জবাব দিতে হবে।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে এই শহরে গোষ্ঠী কোন্দলের খেসারত দিতে হয়েছিল। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের আগে সব গোষ্ঠীই একজোট হয়ে ময়দানে নেমেছে। এদিনের রোড-শো’তেও তৃণমূলের ঐক্যের ছবি দেখা গিয়েছে। তাই এবারের নির্বাচনে ইস্পাতনগরীতে সুদিন ফিরবে বলে দলের নেতা-কর্মীরা মনে করছেন। এদিনের রোড-শোয়ে কাউন্সিলাররাও অংশগ্রহণ করেছিলেন। এমনকী প্রাক্তন কাউন্সিলারদেরও দেখা গিয়েছে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, অরূপবাবু শিল্পাঞ্চলে পা দেওয়ার পর থেকে দলের নেতারা বাড়তি অক্সিজেন পেয়ে গিয়েছেন। তাঁরা দলের প্রার্থীকে জয়ী করার জন্য মরিয়া হয়ে ঝাঁপ দিয়েছেন।