বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
যদিও নিজের গড়ে বিরোধী নেতার এই আক্রমণ হজম করেননি অনুব্রত মণ্ডলও। তিনি বলেন, চোখ দেখাতে বলুন, লাঠি দেখাতে বলুন। বিকল্প পথ আমার বাছা আছে। অনেক বড় বড় কথা বলছেন, আসতে বলুন ভোটের দিন। কতবড় নেতা একবার দেখি! বীরভূমকে অশান্ত করার মূলে উনি।
দুই নেতার আক্রমণাত্মক বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন বাম নেতারা। সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য ও দুবরাজপুর এলাকার নেতা শীতল বাউরি বলেন, আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে কী উদাহরণ রাখছি! কোনও ইস্যু ভিত্তিক সমালোচনা নেই, শুধু উত্তেজনক মন্তব্য! এতে যেমন এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট হয়, তেমনি রাজনীতিও কুলষিত হয়। সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস জেলা সভাপতি সঞ্জয় অধিকারীও। তিনি বলেন, উত্তেজক ভাষণ দিয়ে মানুষের দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।
রবিবার দুবরাজপুরে বর্ণাঢ্য রোড শো করার কথা ছিল বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। সেই মতো শহরের হেলিপ্যাডে সকাল থেকেই ভিড় জমিয়েছিল গেরুয়া টুপি পরা দলের কর্মী-সমর্থকরা। সকাল ১১টার মধ্যে হেলিকপ্টার থেকে নেমে তাঁর রোড শো করার কথা ছিল। প্রখর রোদ উপেক্ষা করে কর্মী-সমর্থকরা মাঠের সামনে দাঁড়িয়ে থাকলেও সময়মতো আসেননি রাজ্য সভাপতি। কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করে তাঁকে ছাড়াই কোনওরকমে দায়সারাভাবে শহরে মিছিল করে বিজেপি। তিন ঘণ্টা পর দিলীপ ঘোষের হেলিকপ্টার নামে দুবরাজপুরে। অল্প সংখ্যক সমর্থকদের মাঝেই দলীয় কার্যালয়ের সামনে থাকা মঞ্চে বক্তব্য রাখতে ওঠেন দিলীপবাবু। উত্তেজক বক্তব্য দিয়ে যুবকর্মীদের হাততালি কুড়িয়ে দেন এই নেতা। পাশাপাশি শাসক দলের তারকা প্রার্থী শতাব্দী রায় সম্পর্কেও কটূক্তি করেন দিলীপ ঘোষ। কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, স্নো-পাউডার মাথা এমপি নিশ্চয়ই আপনাদের চাই না। রং খারাপ হওয়ার ভয়ে রোদে বেরবো না, এমন এমপি নিশ্চয় চাই না। গতকাল সাঁইথিয়ার জনসভায় ফিরহাদ হাকিম বিজেপিকে সন্ত্রাসবাদী দল বলে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, কারা সন্ত্রাসবাদীর দল দেখা যাচ্ছে। বাংলার মানুষ ভয়ে ভোট দিতে পাচ্ছে না। বাড়ি থেকে বের হতে পাচ্ছে না। ২৩ মে’র পর সব হিসেব মিটিয়ে দেব।