কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
এদিন সকাল থেকে করিমপুর এলাকায় নকল ইভিএম হাতে নিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘোরেন তৃণমূলের মহিলা কর্মীরা। এই বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতিটি বুথে মহিলা কর্মীরা কীভাবে ভোট দিতে হবে ইভিএম নিয়ে সাধারণ মানুষকে তার বিস্তারিত বুঝিয়ে দেন। অন্যদিকে, তৃণমূল এলাকায় যা যা উন্নয়ন করেছে, তার খতিয়ান মানুষের কাছে তুলে ধরেন তাঁরা। এদিন তাঁরা বাড়ির হেঁশেলে গিয়ে মহিলাদের কাছে কন্যাশ্রী, রুপশ্রী, সবুজ সাথী প্রকল্পের কথা বলেন। ছেলেমেয়েরা এইসব প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছে কিনা, সেব্যাপারেও জানা হয়। অন্যদিকে, তৃণমূল কর্মীরা বিভিন্ন বাজারে ঘুরে মানুষের সঙ্গে কথা বলে ভোট চান। কৃষকবন্ধু, যুবশ্রী, সমব্যথী প্রভৃতি প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করেন। মানুষের কাছে গিয়ে প্রার্থী আবু তাহের খানকে জোড়াফুল চিহ্নে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান। তৃণমূলের করিমপুর-১ ব্লক সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সদস্য তরুণ সাহা বলেন, আমাদের প্রার্থী এলাকায় অনেকবার ঘুরেছেন। পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী জনসভা করেছেন। আমাদের থেকে প্রচারে অনেক পিছিয়ে আছে অন্য দল। এদিন আমাদের মহিলা কর্মীরা, ছাত্র, যুব, কন্যাশ্রী, রুপশ্রী মেয়েরাও প্রতিটা বুথে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করেছেন। এবার এই বিধানসভা থেকে আমাদের অনেক বেশি ভোটে লিড থাকবে।
প্রসঙ্গত, করিমপুর বিধানসভা এলাকায় একসময় বামেদের শক্ত ঘাঁটি ছিল। ১৯৭৭ সাল থেকে এককভাবে এখানে ক্ষমতা ধরে রেখেছিল বামেরা। ২০১৬ সালে পালাবদল ঘটে। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন এই কেন্দ্রে জয়ী হন তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র। তিনি জয়ী হওয়ার পরে করিমপুরে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। ১৫০ কোটি টাকার বেশি কাজ হয়েছে করিমপুরে। তৃণমূল এদিন সেই সমস্ত উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। তৃণমূলের নেতাদের দাবি, উন্নয়নই এই এলাকায় লিড পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় হাতিয়ার। মানুষ উন্নয়ন দেখেই ভোট দেবে।
অন্যদিকে, এদিন বাড়ি বাড়ি প্রচারের উপর জোর দেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরাও। তাঁরা প্রতিটি মানুষকে নির্ভয়ে পদ্মফুলে ভোট দেওয়ার কথা বলেন। বিজেপি কর্মীরা সাধারণ মানুষকে বলেন, একটি শক্তিশালী ভারত তৈরি করতে হলে, শান্তিতে থাকতে গেলে বিজেপিকে ভোট দিতে হবে। বিজেপি নেতা অমল ঘোষ বলেন, এলাকার মানুষ পঞ্চায়েত নির্বাচনের সন্ত্রাসের কথা ভোলেনি। তাঁরা এই লোকসভায় সুদে আসলে সবকিছু বুঝে নেবে। ভারতকে আরও শক্তিশালী করার জন্য মানুষ বিজেপিকে ভোট দেবে। শেষদিনে প্রচার শেষে আমাদের বিশ্বাস, এই বিধানসভা থেকে আমাদের প্রার্থী অন্তত কুড়ি হাজারের বেশি ভোটে লিড দেবে।
এদিন বাড়ি বাড়ি প্রচারে ঘোরেন সিপিএমের কর্মীরাও। এদিন তাঁরা এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে সিপিএম প্রার্থী বদরুজ্জোদা খানকে ভোট দেওয়ার কথা বলেন। এবিষয়ে নদীয়া জেলা কমিটির সদস্য সুবোধ বিশ্বাস বলেন, করিমপুর আমাদের একটা নির্দিষ্ট জায়গা ছিল, এখনও আছে, আগামী দিনেও থাকবে। এখানে পঞ্চায়েত ভোটের ফলের সাথে এই নির্বাচনকে গুলিয়ে ফেললে হবে না। গত লোকসভা নির্বাচনের মতো এবারও আমরা এই বিধানসভা থেকে লিড পাব। এদিকেও কংগ্রেসও এদিন গোটা এলাকায় প্রচার করে। শনিবারই এখানে সভা করে গিয়েছেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
উল্লেখ্য, এবার ভোটের জন্য করিমপুর বিধানসভার প্রতিটি বুথ কেন্দ্রে থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাই এবার শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দেওয়া যাবে বলে মনে করছেন এলাকার বাসিন্দারা।