রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রটি হরিপাল, তারকেশ্বর, আরামবাগ, খানাকুল, পুরশুড়া, গোঘাট ও পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা নিয়ে গঠিত। আরামবাগ মহকুমার পুরশুড়া বিধানসভাটি খানাকুল, আরামবাগ ও পুরশুড়া থানা নিয়ে গঠিত। সেখানে পুরশুড়া থানায় ৬১টি বুথকে স্পর্শকাতর করা হয়েছে। ওই বিধানসভার খানাকুল থানায় ২২টি পোলিং স্টেশনকে এই তালিকায় রাখা হয়েছে। এছাড়াও আরামবাগ থানায় রয়েছে এমন ১৭টি বুথ। অন্যদিকে, আরামবাগ বিধানসভা কেন্দ্র ও থানার অন্তর্গত স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা করা হয়েছে ৮৮টি। গোঘাট বিধানসভায় রয়েছে ৬৬টি। খানাকুল থানায় রয়েছে ৬৬টি।
এছাড়া পুরশুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ১২৩টি পাড়া সংবেদনশীল রয়েছে। আরামবাগ থানায় এমন পাড়ার সংখ্যা ১০২টি রয়েছে বলে প্রশাসন চিহ্নিত করেছে। গোঘাট বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ১৫৮টি পাড়া রয়েছে। অন্যদিকে, খানাকুলে তার সংখ্যা ১০৫টি।
অন্যদিকে, মহকুমার মধ্যে পুরশুড়া বিধানসভায় ১৮১জন সমস্যা সৃষ্টিকারী বা দাপুটে রয়েছে। আরামবাগ কেন্দ্রে তার সংখ্যা হয়েছে ৩৫২জন। গোঘাটে এমন ব্যক্তির সংখ্যা ২১৬জন। এছাড়া খানাকুল থানায় দাপুটে ব্যক্তি হিসেবে ২০০জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। এমনকী, সন্ত্রস্ত ভোটার হিসেবে পুরশুড়া বিধানসভায় চিহ্নিত হয়েছে ২৩৯জন। আরামবাগ কেন্দ্রে ১৭৭জন। গোঘাটে ১৭৫জন ও খানাকুলে ১৩৮জনকে এই তালিকায় রাখা হয়েছে।
পুলিস ও প্রশাসনের আধিকারিকদের দাবি, গত লোকসভা, বিধানসভা ও বর্তমান পরিস্থিতিকে সামনে রেখে এই রিপোর্ট ঠিক করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টিকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বাড়ির ঠিকানায় সমন পাঠানো হয়েছে। সেই তালিকায় শাসক, বিরোধী সব দলেরই নেতাকে রাখা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় নিজের নাম তালিকায় দেখে অনেকে বিষ্মিতও হয়েছেন। এছাড়া সন্ত্রস্ত ভোটারদের বাড়ি গিয়ে নির্ভয়ে ভোটদানের জন্য প্রত্যেকটি ব্লক ও থানার পুলিস এবং প্রশাসনের আধিকারিকরা আশ্বস্ত করে যোগাযোগের নম্বরও দিচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে পুলিসেব এই রিপোর্ট কিছুটা কম ছিল। সম্প্রতি মহকুমা প্রশাসনের তরফে পাঠানো রিপোর্ট যৌথভাবেই করা হয়েছে। তার জেরে সেই সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে প্রশাসনের দাবি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত বিধানসভা ভোটে মহকুমার বিভিন্ন বুথেই রাজনৈতিক অশান্তি ছড়িয়েছিল। তার জেরে আইন-শৃঙ্খলা জনিত সমস্যাও হয়। তাই লোকসভা ভোটের আগে থেকে সেই বুথগুলির উপর নজরদারি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। বিরোধীদের দাবি, মহকুমায় বহু বুথ স্পর্শকাতর। তাই প্রত্যেকটি বুথেই যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয় আমরা সেই দাবি জানিয়েছি। নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা আরামবাগের এক আধিকারিক বলেন, পুলিস ও প্রশাসনের যৌথ রিপোর্টের ভিত্তিতে স্পর্শকাতর বুথ, দাপুটে ব্যক্তি, পাড়া ও ভোটারদের তালিকা জেলা নির্বাচনী দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। মহকুমায় কত কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন হবে তা এখনও জানা যায়নি। বিষয়টি জেলা প্রশাসন খতিয়ে দেখছে।