বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
আগামী সোমবার ২৯ এপ্রিল জেলার দুই কেন্দ্রে ভোট রয়েছে। প্রচার শেষ হচ্ছে ২৭ এপ্রিল। তাই শেষ রবিবাসরীয় প্রচার এদিনই ছিল। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চুটিয়ে প্রচার সারেন সবকটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা। কিন্তু বিকেলের পর ভিলেন হয়ে ওঠে কালবৈশাখী। সন্ধ্যার পর কালবৈশাখীতে সব লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। প্রার্থীদের প্রচার কর্মসূচি বাতিল করতে হয়। এদিন রানাঘাট কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী রুপালি বিশ্বাসের সমর্থনে প্রচার করেন খোদ দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র দিনভর একাধিক এলাকায় রোড-শো করেন। বিজেপি প্রার্থীও দিনভর প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন।
অন্যদিকে, তেহট্ট ও পলাশীপাড়া বিধানসভাতেও এদিন প্রচারে ঝাঁঝ ছিল সব রাজনৈতিক দলের। তেহট্ট-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছন্দা বিবি খানের নেতৃত্বে এলাকার মহিলারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার করেন। বিকেলে তেহট্ট বাজারে তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি পথসভার আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তব্য রাখেন সংখ্যালঘু সেলের জেলা সভাপতি জুলফিকার আলি খান, যুব নেতা শান্তনু বিশ্বাস সহ অন্যান্যরা। সিপিএম তেহট্ট এলাকার বিভিন্ন জায়গায় প্রচার সারে। এই বিধানসভার বিভিন্ন কেন্দ্রে বিজেপিরও প্রচার কর্মসূচি ছিল। এদিন পলাশীপাড়া কেন্দ্রে প্রচার করেন কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী ইনতাজ আলি শাহ। তিনি পলাশীপাড়া বিধানসভার সাহেবনগর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে রোড-শো শুরু করেন। সেখান থেকে বার্নিয়া, হাসপুকুরিয়া, পলাশীপাড়া পলষণ্ডা-১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রচার করেন। এই বিধানসভায় তৃণমূলের বিধায়ক তাপস সাহা, বাংলা সিরিয়ালের অভিনেত্রী শিল্পী চক্রবর্তী, সুতপা দত্তদের নিয়ে পলষণ্ডা, পলাশীপাড়া, ধনঞ্জয়পুর বিভিন্ন এলাকায় প্রচার করেন। সিপিএম পলষন্ডার বরেয়াতে পথসভা করে। বিজেপির পলাশীপাড়া বাজারে পথসভায় হাজির ছিলেন দলীয় কর্মী-সমর্থকরা।
রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার সকালে ৩৩ নম্বর জেলা পরিষদের আনুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকা হেঁটে প্রচার করেন। এরপর ৪০ নম্বর জেলাপরিষদের শ্যামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় প্রচার সারেন। দুপুরের দিকে আর রামনগর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রচার করেন তিনি। পাশাপাশি এদিন বিকেলে জগন্নাথবাবুর তাঁর নিজের গ্রাম শান্তিপুর থানার আরবান্দি গ্রাম পঞ্চায়েতের আরপাড়া এলাকায় প্রচারে অংশ নেন। যদিও এদিন বিকেলের পর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তাঁর প্রচার পর্ব কিছুটা বিঘ্নিত হয়।
এদিন নবদ্বীপে প্রার্থী ছাড়াই পথসভার মাধ্যমে সব দলের প্রচার হয়।
তবে, প্রচারে তৃণমূল কংগ্রেস অনেক এগিয়ে ছিল। এছাড়া কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী শান্তনু ঝা কৃষ্ণনগর-২ ব্লক এলাকার ধুবুলিয়া, তাতলা, খাজুরি এলাকায় রোড-শো করেন।