বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
আবার অণ্ডালেরই অন্য একটি গ্রামে এক যুবক প্রশ্ন করলেন, আপনি তৃণমূলকে কয়লা চোর, বালি চোর বলছেন অথচ রাফাল নিয়ে কিছু বলছেন না তো? এরপরেই সংসদ সদস্যকে বলতে শোনা যায়, তৃণমূলের গুন্ডা এখানে কীভাবে এল? ওঁকে ছুড়ে ফেলে দাও। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে জামুড়িয়ার শ্রীপুরেও। সেখানেও কয়েকজন তৃণমূল সমর্থক বিতর্কিত গান বন্ধ করতে বললে তাঁদেরকেও তিনি তৃণমূলী গুন্ডা বলতে থাকেন। একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মুখ থেকে দালাল, গুন্ডা জাতীয় শব্দ শুনে চটেছে শিল্পাঞ্চল। এমনকি বিজেপির শরিক দল শিবসেনার প্রার্থী অভিষেক সিংও এই আচরণের তীব্র নিন্দা করেছেন।
শিবসেনা প্রার্থী বলেন, যাঁরা প্রথমদিন থেকে বিজেপি করে আসছেন, তাঁদের মুখ থেকে এজাতীয় শব্দ শুনতে পাবেন না। তাঁরা শালীনতা বজায় রেখেই কথা বলেন। কিন্তু যাঁরা সম্প্রতি দলে এসে নেতা বা মন্ত্রী হয়ে গিয়েছেন, তাঁদের আচরণ তো এরকম হবেই। অণ্ডালের তৃণমূল নেতা রূপেশ যাদব বলেন, ওঁকে সাধারণ লোকজন প্রশ্ন করলেও তিনি তাঁদের তৃণমূলের দালাল বা তৃণমূলের গুন্ডা বলছেন। কাজরাতে গ্রামবাসীরা ওঁর সামনে পানীয় জলের সঙ্কট নিয়ে সরব হয়েছিলেন। অথচ তিনি এক ব্যক্তিকে সেখানে বলে বসেন তৃণমূলের দালাল।
যদিও বাবুলবাবু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তৃণমূল তাঁর প্রচার কর্মসূচিতে লোকজন ঢুকিয়ে গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছে। কয়েকদিন আগে তাঁকে বারাবনির মাজিয়ারা গ্রামে গাড়ি চাপা দিয়ে মারার পরিকল্পনাও করা হয় বলে তিনি প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার অধিকাংশই বাস্তবায়িত হয়নি। সেসময় শিল্পাঞ্চলে তারা পানীয় জলের সঙ্কট মেটানোর আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু অণ্ডাল, জামুড়িয়ার মতো গ্রামীণ এলাকাগুলিতে এখনও জলের সমস্যা থেকেই গিয়েছে। এছাড়া দুটি বড় কারখানা বিজেপির আমলে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। অপ্রিয় প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে বেশ কয়েকবার তাদের প্রার্থীকে মেজাজ হারাতেও দেখা গিয়েছে। তা নিয়ে গণ্ডগোলও হয়েছে।
বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের সংসদ সদস্যকে অনেক কাজ করতে বাধা দেওয়া হয়েছে। তারপরেও তিনি বহু কাজ করেছেন। তৃণমূল প্রচারের সময় ইচ্ছাকৃতভাবে গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছে।