পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিজেপির শহর সভাপতি উত্তম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মৌখিক অনুমতি নিয়েই দেওয়াল লেখা হয়েছিল। কিন্তু তৃণমূলের উস্কানিতে দুষ্কৃতীরা আমাদের দেওয়াল লিখনে কালি ছিটিয়ে দিয়েছে। আমরা এনিয়ে অভিযোগ জানাব। অন্যদিকে, সিউড়ি শহরের তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ মজুমদার বলেন, আমরা শহরের প্রতিটি দেওয়াল লিখনের জন্য অনুমতি নেওয়া হয়েছে। প্রায় প্রতিটি বাড়ির মালিক দাঁড়িয়ে থেকে আমাদের দেওয়াল লিখন করিয়েছে। আর বিজেপির লোকজন না থাকায় দেওয়াল লেখানোর কনট্রাক্ট দেওয়া হয়েছে। সেইমতো যেখানে পাচ্ছে অনুমতি না নিয়ে দেওয়াল লিখন করছে ওরা। আমরা বিজেপিকে লড়াইয়ের মধ্যে রাখছি না, তাই ওদের দেওয়াল মুছতে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।
এনিয়ে শহরের চাঁদনি পাড়ার বাসিন্দা কাজি মহম্মদ নিজামুদ্দিন বিজেপির বিরুদ্ধে দেওয়াল লিখনের অভিযোগ তোলেন। বাড়ির মালিক হিসেবে নিজামুদ্দিন বলেন, এদিন সকালে বিজেপি দেওয়াল লিখন করতে এসেছিল। আমি বাধা দিয়েছিলাম। কারণ, বিজেপিকে আমার পছন্দ নয়। তারা চলে যাওয়ার পর কখন কালি ছেটানোর ঘটনা ঘটেছে বলতে পারব না। বিজেপির আরও অভিযোগ, অনুমতি নিয়েই দেওয়াল লিখনের পরেও তৃণমূল এই দেওয়ালে কালি ছিটিয়ে দেয়।
দেওয়াল লিখন নিয়ে উত্তেজনা বীরভূমে নতুন নয়। ভোট ঘোষণার পর থেকেই এনিয়ে শাসক-বিরোধী মধ্যে অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের পালা চলছে। কিছুদিন আগেই সাঁইথিয়া থানা এলাকায় একটি দেওয়াল লিখনে শতাব্দী রায়ের নামের উপর গোবর লেপে দেওয়া অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। এদিন আবার বিরোধী প্রার্থী দুধকুমারের দেওয়াল লিখনে কালি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। বিজেপি জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেন, শুধু এই ঘটনাই নয় বিভিন্নভাবে বিজেপির প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছে। আমরা মঙ্গলবার জেলাশাসক ও জেলা পুলিস সুপারের কাছে দেখা করে এসব নিয়ে অভিযোগ জানাব।