পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, শান্তিপুর সাহিত্য পরিষদের প্রায় এক বিঘা জমিতে ভবন নির্মাণের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়ায় একটি করে নিম, কাঞ্চন ও পলাশ গাছ। কিন্তু গাছ না কেটে বরং সেগুলি অন্যত্র অক্ষত অবস্থায় স্থানান্তর করতে উদ্যোগী হয় শান্তিপুরের ওই সংস্থা। এরপরই শান্তিপুরের একাধিক সংস্থার সদস্যরা একত্রিত হয়ে বনদপ্তরের কাছ থেকে এই গাছ স্থানান্তরের ছাড়পত্র আনেন। এদিন সকাল থেকেই শুরু হয় শান্তিপুরে গাছ স্থানান্তরের কাজ। এ ব্যাপারে শান্তিপুর সাহিত্য পরিষদের সম্পাদক সুশান্ত মট বলেন, একটি গাছ একটি প্রাণ। একথা আমরা সবসময় বলে থাকি। কিন্তু আমরাই নিজেদের স্বার্থে গাছ কেটে ফেলি। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বৃক্ষ ছেদন না করে বৃক্ষ স্থানান্তরের এই উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। এর জন্য ব্যয় হবে প্রায় নয় হাজার টাকা। প্রথমে বনদপ্তরের ছাড়পত্র পাওয়ার পর গাছ স্থানান্তর করার একটি সংস্থার সঙ্গে আমরা কথা বলি। গাছ স্থানান্তর বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এবং তাঁদের উপস্থিতিতে এদিন থেকে এই কাজ চলছে। যে তিনটি গাছ অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে, সেই তিনটি গাছের জন্য দিন পনেরো ধরে কিছু নিয়ম বিধি আমাদের মানতে হবে। আশা করছি তিনটি গাছই অক্ষত অবস্থায় থাকবে। আমাদের সঙ্গেই পরিবেশের মাঝে বেড়ে উঠবে।
বিষয়টি নিয়ে শান্তিপুরের একজন পরিবেশ কর্মী অনুপম সাহা বলেন, আমরা সর্বদা গাছ রক্ষার পক্ষে। এইভাবে গাছ স্থানান্তর করা যে সম্ভব, তা এদিন শান্তিপুরের সাধারণ মানুষ দেখেছেন। আশা করছি আজকের পর পরিবেশপ্রেমী ও বুদ্ধিদীপ্ত সাধারণ মানুষ নিজেদের স্বার্থে গাছ না কেটে, গাছ স্থানান্তর করার বিষয়ে একটু হলেও চিন্তাভাবনা করবেন। সোমবার সকাল থেকেই শান্তিপুরের ওই এলাকায় গাছ স্থানান্তরের ঘটনা দেখতে স্থানীয় বাসিন্দারা ভিড় জমান।