বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের মৃত্যুর পর এই বিধানসভার বিধায়ক পদ শূন্য হয়ে যাওয়ায় আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভায় উপনির্বাচন হবে। হাঁসখালির বেনালি ডিসি উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বর্তমানে হাঁসখালি পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ প্রমথরঞ্জন বসুকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। রাজনীতির পাশাপাশি মতুয়াদের জন্য তিনি কাজ করেছেন। বর্তমানে নদীয়া জেলা মতুয়া মহাসংঘের সভাপতিও প্রমথবাবু।
তৃণমূল প্রার্থীর নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই ওই এলাকার তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকরা দেওয়াল লিখনের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। এলাকায় জোরদার প্রচার চালাচ্ছেন প্রার্থী। সারাদিন বিভিন্ন এলাকায় দলীয় নেতৃত্বকে নিয়ে মিছিল ও বাড়ি বাড়ি প্রচার চালাচ্ছেন। রানাঘাট লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী রুপালি বিশ্বাসের হয়েও প্রচারে যাচ্ছেন। সন্ধ্যার পর দলীয় কার্যালয়ে কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করছেন। এদিকে, সিপিএম ও কংগ্রেসের আসন সমঝোতার কারণে বেশ কিছুদিন পর সিপিএম প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। তাই দেওয়াল লিখন কিংবা রাজনৈতিক প্রচারে সিপিএম প্রার্থী অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছেন বলে মনে করছে এলাকার রাজনৈতিক মহল।
সিপিএমের প্রার্থী হয়ে রাজনৈতিক ময়দানে নেমেছেন মৃণাল বিশ্বাস। ছাত্র রাজনীতিতে হাতেখড়ির পর বর্তমানে দলের হয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ব্যাখ্যা, বাম প্রার্থীর থেকে রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় ও কৌশলগত দিক থেকে তৃণমূল ফায়দা তুলতে পারে। পাশাপাশি প্রমথবাবু নদীয়া জেলা মতুয়া মহাসংঘের সভাপতি হওয়ায় মতুয়া ভোট পেতে তৃণমূল প্রার্থীর ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। খুন হওয়া তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের ‘সিমপ্যাথি’ ভোট পাওয়াটাও একটা বাড়তি অ্যাডভান্টেজ দিতে পারে।
প্রমথরঞ্জনবাবু বলেন, সত্যজিতের মৃত্যুর পর পিছিয়ে পড়া মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য তাঁর রেখে যাওয়া অসম্পূর্ণ কাজ আমি করতে চাই। পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মতুয়াদের জন্য আলাদা পর্ষদ, বিশ্ববিদ্যালয় সহ একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। সেই সব উন্নয়নকে হাতিয়ার করেই ভোট প্রচারে নেমেছি। সিপিএম প্রার্থী মৃণালবাবু বলেন, বেশ কয়েক বছরের মধ্যে দু’জন তৃণমূল নেতা সহ এই এলাকায় ১২জন সাধারণ মানুষ খুন হয়েছেন। তার মধ্যে আমার বাবা মাধবচন্দ্র বিশ্বাসও রয়েছেন। ২০১২সালে নৈশপ্রহরীর কাজ করার সময় আততায়ীরা খুন করে বাবাকে। তাই শান্তি, সৌভ্রাতৃত্ব ও শ্রমজীবী মানুষের কথা মাথায় রেখেই মানুষের কাছে গিয়ে ভোট চাইছি।
হাঁসখালি ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি রতন ভৌমিক বলেন, আমাদের প্রার্থীর নাম এখনও ঘোষণা না করা হলেও আমরা কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। বিজেপির জেলা সভাপতি(দক্ষিণ) জগন্নাথ সরকার বলেন, খুব শীঘ্রই আমাদের প্রাথীর নাম ঘোষণা হবে। প্রচারেও নামব।