বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ভোট ঘোষণা হওয়ার আগেই জেলাজুড়ে বুথভিত্তিক সমীক্ষা অভিযানে নামে তৃণমূল। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুর এই তিনটি লোকসভা কেন্দ্রে মোট বুথের সংখ্যা ৫৭০৬টি। ইতিমধ্যে প্রতিটি বুথে নির্বাচনী কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে ন্যূনতম ১৫জন করে সদস্য আছেন। কমিটির সদস্যরা তিন-চারটি দলে ভাগ হয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা চালায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সামাজিক প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা মিলছে কিনা, এলাকার রাস্তা, পানীয় জল, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও স্কুলে পরিকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে কিনা, মহিলারা স্বনির্ভর হয়েছেন কিনা, ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিরা পাশে থাকেন কিনা, সরকারের উন্নয়নে খুশি নাকি অখুশি এমন একগুচ্ছ প্রশ্নের উত্তর সংগ্রহ করেন। পাশাপাশি, উন্নয়নমূলক কাজকর্ম নিয়ে বাসিন্দাদের মতামত লিপিবদ্ধ করেন। ওই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই তৃণমূলের জেলা নেতারা রীতিমতো উচ্ছ্বসিত।
এদিন ওই রিপোর্ট সামনে রেখে বহরমপুরে দলের টাউন কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি। সম্মেলনে দলের টাউন কমিটির সভাপতি নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। অশোকবাবু বলেন, দলের বুথভিত্তিক সমীক্ষা রিপোর্টে উল্লেখ আছে, জেলাবাসী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে খুশি। তাঁরা তৃণমূলের সঙ্গে থাকার কথা জানিয়েছেন। তাই এবার লোকসভা ভোটে জেলার তিনটি কেন্দ্রেই কংগ্রেস শুয়ে পড়বে। প্রতিটিতেই তৃণমূল এগিয়ে রয়েছে। ভোটের দিন কংগ্রেস কোনও বুথে এজেন্ট দেওয়ার লোক পাবে না। বহরমপুর কেন্দ্রের প্রার্থী তথা কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীকে আক্রমণ করেন তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি। তিনি বলেন, অধীরবাবুর সঙ্গে কোনও লোকবল নেই। এখন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মানুষের সহানুভূতি অর্জনের চেষ্টা করছেন। হার নিশ্চিত বুঝতে পেরে জেলাশাসক ও পুলিসের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। অধীরবাবু দিশাহারা হয়ে পাগলের প্রলাপ করছেন। মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সামনে রেখে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে এবার সিপিএম ও বিজেপির ‘দোসর’ অধীরবাবুকে গোল খাওয়াব।
এদিকে, অধীরবাবু ভোটের ময়দান চষে বেড়াচ্ছেন। বহরমপুর থেকে কান্দি, বহরমপুর থেকে বেলডাঙা, রেজিনগর, কখনও আবার নওদায় পদযাত্রা, কর্মিসভা করছেন। পাশাপাশি, কংগ্রেসের দক্ষ ও অভিজ্ঞ নেতারাও বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে পাড়া বৈঠক করছেন। সেই দলে কয়েকজন শিক্ষক রয়েছেন। এদিন তাঁরা বহরমপুর শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে পাড়া বৈঠক করেন বলে জানা গিয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র তথা জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মহফুজসাহেব বলেন, অধীরদার জয় নিশ্চিত। তা কেউ রুখতে পারবেন না। তাঁর জয়ের ব্যবধান কয়েকগুণ বাড়ানোই আমাদের লক্ষ্য। এবার জেলার তিনটি আসনই আমরা পাব। তাই গণতন্ত্র ধ্বংসকারী তৃণমূল হাওয়া গরমের উদ্দেশে বাতেলাবাজি করছে। ওদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপধ্যায় একদা বিজেপির সঙ্গী ছিলেন। তাদের হাত ধরেই রাজ্যে বিজেপি প্রবেশ করেছে।