গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
১৮টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত কালনা পুরসভার জনসংখ্যা প্রায় ৫৬ হাজার। ভাগীরথী নদীর তীরবর্তী এই শহরের নাগরিক পরিষেবা নিয়ে বাম আমল থেকে নাগরিকদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। কিন্তু রাজ্যে পালাবদলের পর পুরসভা এলাকার আমূল পরিবর্তন ঘটে। তৃণমূলের দাবি, শহরবাসীকে সঠিক পরিষবা দেওয়ার লক্ষ্যে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা একের পর এক উন্নয়নের কাজ শুরু করে।
ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানীয় জল পরিষেবা বেশ পুরনো হওয়ায় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছিল। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ভাগীরথী নদী থেকে জল তুলে নতুন প্রকল্পে ইতিমধ্যে ১৪ হাজার পরিবারের কাছে পানীয় জল পৌঁছে গিয়েছে। শহরের অলিগলি থেকে প্রধান রাস্তা পিচ ও ঢালাই করে ঝাঁ চকচকে করা হয়েছে। শ্মশানের সৌন্দর্যায়ন, জল নিকাশি ব্যবস্থা, উঁচু ঢালাই রাস্তা, গোটা শহর আশোকিত হয়েছে। ২৬৫টি গরিব পরিবার সরকারি প্রকল্পে বাড়ি পেয়েছেন। শহরে ক্যারিব্যাগ নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি হাসপাতালে বিনামূল্যে ওষুধ সহ স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। ফেরিঘাটের সৌন্দর্যায়ন, হকারদের পুনর্বাসন, বেকার যুবক-যুবতীদের জন্য কর্মতীর্থ, উন্নতমানের স্টেডিয়াম ও খেলার মাঠ তৈরি, জঞ্জাল সাফাই সবকিছুতেই শহরের চেহারাই বদলে গিয়েছে। তাই এই উন্নয়নের কথা বাড়ি বাড়ি প্রচারের মাধ্যমে ভোটব্যাঙ্ক শক্তিশালী করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে স্থানীয় নেতৃত্ব। অন্যদিকে, শহরের নিরাপত্তায় বিভিন্ন প্রান্তে ১৫০টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। বিদায়ী সংসদ সদস্য সুনীল মণ্ডল তাঁর উন্নয়ন তহবিলের টাকায় প্রতিটি ওয়ার্ডের উন্নয়ন করেছেন বলে নেতৃত্বের দাবি।
দেবপ্রসাদবাবু বলেন, বাম আমলে পরিষেবা কী ছিল, আজ কী পাচ্ছেন তা শহরের মানুষ নিজেরাই বিচার করবেন। সুনীলবাবু আমাদের সহযোগিতায় সবসময় পাশে ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে সঙ্গে নিয়ে আমরা মানুষরে কাছে ভোট চাইব। পুর এলাকায় এবার রেকর্ড ভোটে জয় আসবে বলে আমরা নিশ্চিত।
এব্যাপারে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সঞ্জয় বিশ্বাস ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার লীনা মল্লিক বসু বলেন, আমাদের দলনেত্রীর নির্দেশ মেনে আমরা সারাবছরই মানুষের পাশে থাকি। ইতিমধ্যেই ওয়ার্ডে প্রচারের কাজ শুরু করে দিয়েছি। উন্নয়নের নিরিখে নিজেদের ওয়ার্ড থেকে দলকে লিড দেওয়ার ব্যাপারে আমরা ১০০ শতাংশ নিশ্চিত।
এব্যাপারে বিজেপির নগর মণ্ডলের সভাপতি সুকল্যাণ পাল বলেন, কয়েকটি লাইট আর ড্রেন করে উন্নয়ন হয় না। কর্মসংস্থানের কোনও ব্যবস্থাই হয়নি। এবার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। ভোটের ফলাফলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।
কালনা পুরসভার বিরোধী দলনেতা সিপিএমের গৌরাঙ্গ গোস্বামী বলেন, সরকারে থাকলে উন্নয়ন করতে হবে। তবে, উন্নয়নের অভিমুখ ঠিক নয়। চটকদারি উন্নয়ন চলছে। আমাদের সময়েও মানুষ উন্নয়ন দেখেছেন। হারা-জেতা ভোটের ফল বলবে।