পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পের জেলা আধিকারিক অনির্বাণ চক্রবর্তী বলেন, জেলার সবকটি পুরসভা ও বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় অনেক আগে থেকেই দুধ সরবরাহ হতো। কিন্তু সাম্প্রতিককালে ট্রেজারি থেকে বিল পাশ নিয়ে কয়েকটি প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বিল আটকেও ছিল। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সাময়িকভাবে সমস্যার সমাধান করেছি। পরে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে জেলাশাসকের নির্দেশ মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রাজ্য সরকারের তরফে বিভিন্ন সময়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিশুদের পুষ্টিগুণ সম্পন্ন নানা আহার দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জেলাও অনেক সময় নিজেদের উদ্যোগে বিশেষ খাবার সরবরাহ করে। বীরভূম জেলাতেও বিক্ষিপ্তভাবে কিছু কেন্দ্রে নিউট্রিমিক্স, হরলিক্স, দুধ দেওয়া হয়। বিশেষ করে বোলপুর পুরসভা এলাকায় বহু আগে থেকে জেলার সমবায় ময়ূরাক্ষী কো-অপারেটিভের মাধ্যমে দুধ সরবরাহ শুরু করে জেলা প্রশাসন। পরে ২০১৬ সাল থেকে বোলপুর, সিউড়ি, দুবরাজপুর, সাঁইথিয়া, রামপুরহাট, নলহাটি এই ছ’টি পুরসভা এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে দুধ দেওয়া শুরু হয়। এছাড়া বোলপুর ব্লকের রায়পুর-সুপুর, কঙ্কালীতলা, নুরপুর এবং সাঁইথিয়া ব্লকের আহমদপুর, সিউড়ি-২ ব্লকের পুরন্দরপুর ও দুবরাজপুর ব্লকের যশপুর পঞ্চায়েত এলাকার কেন্দ্রগুলিতেও দুধ সরবরাহ শুরু হয়। প্রতি বেনিফিসিয়ারিকে ১০০ থেকে ১২০ মিলিলিটার করে দুধ দেওয়া শুরু হয়। বোলপুরে মাসে গড়ে তিন লক্ষ, সিউড়িতে এক লক্ষ ৩০ হাজার, দুবরাজপুরে প্রায় দু’লক্ষ, নলহাটিতে এক লক্ষ্য ২০ হাজার, সাঁইথিয়ায় দেড় লক্ষ, রামপুরহাটে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকার দুধ সংগ্রহ করা হয়। জেলা থেকে নির্দেশ থাকলেও ব্লকের সিডিপিওরাই তা সংগ্রহ করতেন। ট্রেজারির মাধ্যমে বিল মঞ্জুর করা হতো।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকমাস ধরেই বিল পাশ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। সিডিপিওরা ট্রেজারিতে বিল পাঠালেও তা পাশ হচ্ছিল না। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে বিল পড়েছিল। লক্ষ লক্ষ টাকার দুধ টেন্ডার পদ্ধতি না মেনেই সংগ্রহ করার অভিযোগ ঘিরেই এই জটিলতা সৃষ্টি হয় বলে প্রশাসনের একটি মহলের দাবি। তাদের মতে, বছরে এক লক্ষ টাকার বেশি কিছু সরকারিভাবে সংগ্রহ করতে গেলে টেন্ডার করতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে তা হয়নি। বছরে গড়ে কোটি টাকার বেশি বিল হওয়া এই সরবরাহ প্রকল্পে কোনও টেন্ডার হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। তাই দুধ সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। ভোটের মুখে এই ঘটনায় যথেষ্ট বিড়ম্বনার সৃষ্টি হতে পারে।
যদিও জটিলতা কাটানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সিডিপিওরা জেলা প্রকল্প আধিকারিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে সেপ্টেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত বিল পাশ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ভবিষ্যতে কী হবে তা নিয়েই ধোঁয়াশা রয়েছে।