কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
তাই দিলীপ বধে শহরের অন্যান্য ইস্যুগুলির পাশাপাশি ভারতী ঘোষের উপরেও ‘ভরসা’ রাখতে চাইছে তৃণমূল নেতৃত্ব। সুব্রতবাবুর সভার দিনই তার একটা আভাস মিলেছে। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতী ঘোষের প্রসঙ্গ টেনে এনে খড়্গপুর শহরের বাসিন্দাদের তাঁদের পূর্ব অভিজ্ঞতা স্মরণ করতে বলা হয়। সেদিন দেবাশিসবাবু তাঁর বক্তব্যে ভারতী ঘোষকে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ বলে অভিহিত করে বলেন, এরকম একজনকে যে দল প্রার্থী করতে পারে, সেই দলটার ভবিষ্যত কী, তা সহজেই অনুমান করা যায়। তাঁর সম্পর্কে আপনাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে। ওই দলটার বিরুদ্ধে এককাট্টা হতে হবে।
দেবাশিসবাবু পাড়ায় পাড়ায় তা বলতেও শুরু করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, উনি এই জেলার এসপি ছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই খড়্গপুরে আমরা যারা বসবাস করি, তাঁকে আমরা চিনি। অনেক দুর্ব্যবহার, অত্যাচারের অভিযোগ আছে। আমি পাড়ায় পাড়ায় বৈঠক করে সেকথা বলছি। উদ্দেশ্য একটাই, যে দল ভারতী ঘোষের মতো একজনকে প্রার্থী করতে পারে, সেই দলের বিরুদ্ধে এই ভোটে গর্জে উঠতে হবে।
তিনি বলেন, ওদের প্রার্থী দিলীপ ঘোষও একসময় এই ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন। প্রতি সভা সমিতিতে তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনতেন। এমনকী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকেও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছিল। আমরা সেই সব কথা তুলে ধরে এখন দিলীপবাবু কী বলবেন, সেই প্রশ্ন তুলব। আমাদের নেত্রী যখন বুঝলেন ভারতী ঘোষ আমাদের জেলাকে ভালোর দিকে নিয়ে যাওয়ার নাম করে ক্ষতি করে দিচ্ছেন, তখন তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আমরা জানি, এই প্রশ্নে খড়্গপুরের মানুষ বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটের বাক্সে প্রতিবাদ করবেন।
দেবাশিসবাবু বলেন, একই সঙ্গে দিলীপবাবু যে বিধায়ক হয়েও গত তিন বছরে এই শহরের জন্য কিছুই করেননি, তাও মানুষের কাছে তুলে ধরব। বিশেষ করে খড়্গপুর রেল ওয়ার্কশপের কোনও উন্নতি হয়নি। রেল এলাকার বস্তিগুলির কোনও উন্নয়ন হয়নি। তাও ভোট প্রচারে আমরা তুলে ধরব।
রবিবাবু বলেন, স্থানীয় অনেক ইস্যু আছে। বিশেষ করে রেলকে কেন্দ্র করে এই শহর। কেন্দ্রে নিজেদের সরকার থাকা সত্ত্বেও বিধায়ক রেল এলাকার কোনও উন্নয়ন করতে পারেননি। প্রদীপবাবু বলেন, আমাদের পুরবোর্ড অনেক উন্নয়ন করেছে। সেই অর্থে বিধায়ক এই শহরে কোনও উন্নয়নমূলক কাজ করেননি। রেলবস্তিগুলির চেহারা দেখলেই তা সহজে বোঝা যাবে। আমরা স্থানীয় ইস্যু হিসেবে সেই সব তুলে ধরব।
দিলীপবাবু অবশ্য বলেন, ওই সময় ভারতী ঘোষ সরকারের লোক ছিলেন। তখন তিনি যা করেছেন, সরকারের অঙ্গুলিহেলনে করেছেন। এখন উনি আমাদের দলের নেত্রী। আর আমি কী করেছি, তা খড়্গপুরের বাসিন্দারা ভোটের দিন বুঝিয়ে দেবেন। আমাকে তাঁরা এর আগেও সমর্থন করেছেন। আবারও করবেন। ১২ তারিখ সেটা প্রমাণ হয়ে যাবে।