সংবাদদাতা, কালীগঞ্জ: ২৯ এপ্রিল কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে ভোট। এই কেন্দ্রে রাজ্যের শাসক দল ও বিরোধীরা প্রার্থী ঘোষণা করেছে। সংশ্লিষ্ট আসনের কালীগঞ্জ ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েতে ভোটপ্রচার ও দেওয়াল লিখনের কাজ শুরু হলেও পলাশী-২ পঞ্চায়েতে এখনও ভোটের কোনও তাপউত্তাপ নেই। দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে এখানে সেভাবে কোনও দলই দেওয়াল লিখনের কাজ শুরু করেনি। এবিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সভাপতি আনারুল হক বলেন, দেওয়াল লিখনের কাজে পঞ্চায়েত সদস্যদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে পঞ্চায়েত সদস্যদের বক্তব্য, দল থেকে সেভাবে কোনও নির্দেশ পাওয়া যায়নি। ফলে শাসকদলেও অনেকটা গাছাড়া ভাব।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এখানকার ১০টি আসনের ম঩ধ্যে সাতটিতে জয়লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তা সত্ত্বেও এখানে ভোটপ্রচারে শাসক দলে কোনও উৎসাহ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। এলাকার বাসিন্দাদের মতে, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই এর কারণ। আবার অনেকে বলছেন, তৃণমূলের নির্বাচিত সদস্যদের মধ্যেও উদ্যোগের অভাব দেখা যাচ্ছে। এখনও সেভাবে শাসক দলের প্রচার না থাকায় অবাক সাধারণ মানুষ থেকে তৃণমূল কর্মীরা। দলের সদস্যদের সঙ্গে মনোমালিন্য এখানকার তৃণমূলের সংগঠনের ক্ষতি করছে বলে তৃণমূলের নিচুতলার কর্মীদের মত।
অন্যদিকে, সারা রাজ্যের মতো এখানেও সিপিএমের সংগঠন ছন্নছাড়া। কর্মী সমর্থকদের মধ্যে আগের মতো একতা আর নেই। সংঘবদ্ধ হয়ে তাই তারা ভোটপ্রচারে নামতে পারছে না। কংগ্রেস গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জোট করে এখানে দু’টি আসন পেলেও তাদের সংগঠনও নড়বড়ে। এখনও তারা কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থীও ঘোষণা করতে পারেনি। অপরদিকে এই পঞ্চায়েতে বিজেপির তেমন কোনও সংগঠনই নেই।
কালীগঞ্জ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পলাশী-২ পঞ্চায়েতে নিজেদের মধ্যে একটু ঝামেলা ছিল। আমরা বসে মিটিয়ে নিয়েছি। শীঘ্র ভোট প্রচার ও দেওয়াল লিখন শুরু হবে। সিপিএমের দেবাশিস আচার্য বলেন, আমাদের লোকের অভাব আছে একথা ঠিক। তবে কয়েকদিনের মধ্যেই ওখানে দেওয়াল লিখন শুরু করব।