গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
একসময় জেলা বিজেপির সভাপতি পদে থাকা দুধকুমার মণ্ডলের সঙ্গে রাজ্য এবং জেলা নেতৃত্বের একাংশের মতানৈক্যের জেরে তিনি পদ থেকে সরে দাঁড়ান। তারপর থেকে দুধকুমারবাবু ও তাঁর অনুগামীরা দলে কোণঠাসা হয়ে পড়েন। দিলীপ ঘোষ বিজেপির রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর জেলা সভাপতি হন দুধকুমারবাবুর বিরোধী শিবিরের নেতা হিসেবে পরিচিত রামকৃষ্ণ রায়। এমনকী নতুন জেলা কমিটিতেও ঠাঁই হয়নি দুধকুমারের। এরপরেই ‘রাজনৈতিক সন্ন্যাস’ নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। এমনকী তিনি তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলেও জল্পনা ছড়ায়। যদিও গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ময়ূরেশ্বর পঞ্চায়েতের ব্রাহ্মণবহড়ায় বিজেপি প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করেন তিনি। এবার দল তাঁকেই লোকসভার প্রার্থী করেছে। স্বভাবতই দলে তাঁর বিরোধীরা ক্ষুব্ধ বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। শুক্রবার জেলা কার্যকর্তাদের বৈঠকেও তাঁকে প্রার্থী করা নিয়ে হইচই হয়। ফলে দুধকুমার বিরোধীরা তাঁর হয়ে প্রচারে আদৌ নামবেন কিনা তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
এদিন পুজো দিয়ে প্রচারে বেরনোর আগে এই প্রসঙ্গে দুধকুমারবাবু বলেন, সেই সময় দল আমাকে কাজ থেকে মুক্তি দেওয়ায়, আমি রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস গ্রহণ করেছিলাম। তবে আমি বিজেপি দল করে এসেছি। এখন দল আমাকে প্রার্থী করে আমার প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছে। আমি কৃতজ্ঞ। কোনও মতানৈক্য বা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। সমস্ত কর্মীই আমার পাশে দাঁড়িয়ে লড়াই করতে মাঠে নেমে পড়েছেন।
এরপরই তিনি লাগোয়া ফুলিডাঙা মাজারে প্রণাম করে কড়কড়িয়া, তারাপুর, শাসপুর, সাহাপুর সহ একাধিক গ্রামে প্রচার করেন। কখনও মিছিলে হাঁটেন। কখনও আবার পথ চলতি মানুষের হাত ধরে ভোট ভিক্ষা করতে দেখা যায় তাঁকে। আবার পুকুরের ঘাটে নেমে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তাঁদের বলেন, আপনারা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভোট দিন। পঞ্চায়েতে মানুষকে ভোট দিতে না দেওয়ার বিষয়টি তৃণমূলের কাছে বুমেরাং হয়ে ফিরবে। শাসকদলের লোকেরা এখন থেকেই গ্রামবাসীদের হুমকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, সন্ত্রাস কবলিত এলাকা বাদ রেখে যেখানে বিজেপির শক্তি বেশি, সেখানেই জেলা প্রশাসন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে টহল চালাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের কাছে এই অভিযোগ জানাব।
যদিও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করে রামপুরহাট-২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি সুকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, নির্বাচনে হার নিশ্চিত জেনে আবোল-তাবোল অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
এদিকে এখনও গ্রামেগঞ্জে বিজেপি কর্মীদের প্রচারে না নামার প্রশ্নে সুকৌশলে দুধকুমারবাবুর উত্তর, এবার নীরব বিপ্লব ঘটবে। তৃণমূলের বিকল্প হিসেবে তাঁকেই ভোট দেবেন কংগ্রেস ও সিপিএমের লোকেরা।