রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
কাটোয়া হাসপাতালে বিভিন্ন সময়ে দালালরাজের অভিযোগ উঠেছে। চিকিৎসা করাতে এসে দালালদের খপ্পড়ে পড়ে রোগীদের সর্বসান্ত হওয়ারও ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন গ্রাম থেকে চিকিৎসা করাতে আসা মহিলাদের আরও ভালো চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার নাম করে তাঁদের কাছ থেকে সোনার কানের দুল থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। বিশেষ করে এক্স-রে করানোর নাম করে অসহায় বৃদ্ধাদের রিকশয় চাপিয়ে বাইরে গিয়ে তাঁদের কাছ থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালে প্রায় চারজন মহিলা এই দালালদের খপ্পড়ে পড়ে সর্বসান্ত হয়েছেন বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
এছাড়াও আরও অভিযোগ, সাধারণত বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা রোগীদের এই দালালরাই ভুল বুঝিয়ে বর্ধমান শহরের বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করায়। এর বিনিময়ে ওই সমস্ত বেসরকারি নার্সিংহোম থেকে দালালরা ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত কমিশন পায় বলেও অভিযোগ। দালালদের খপ্পড়ে পরে অনেকেই সব খুইয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হতো। হাসপাতালের ভিতরেও নানারকম সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তাঁদের কাছ থেকে টাকা আদায় করার অভিযোগও ওঠে দালালদের বিরুদ্ধে।
তাই রোগী এবং রোগীর সঙ্গে আসা আত্মীয়দের সচেতন করতেই হাসপাতাল চত্বরে দালালদের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের উপর পূর্ব বর্ধমান, নদীয়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ প্রভৃতি জেলার একাংশ নির্ভরশীল। তাই প্রতিদিন রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হয় কর্মীদের। ধীরে ধীরে হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নত হচ্ছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রোগীর চাপ। চিকিৎসা ব্যবস্থায় আনা হচ্ছে আধুনিক যন্ত্রপাতি। সেই সঙ্গে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবার জন্য ভিন জেলার অনেকেই কাটোয়া হাসপাতালে ভিড় জমান। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে হাসপাতাল চত্বরে দালালরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ। এমনকী, অনেকে রক্ত পাইয়ে দেওয়ার নাম করেও মোটা টাকা রোগীর কাছ থেকে আদায় করে বলে প্রায়ই অভিযোগ ওঠে।
নদীয়া জেলার বেথুয়াডহরির বাসিন্দা উজ্জ্বল বিশ্বাস, নিমাই হালদার, সালারের বাসিন্দা মফিজুল শেখ বলেন, হাসপাতাল চত্বরে এলে অনেকেই দেখি ভালো ল্যাবে রক্তপরীক্ষা বা এক্স-রে করিয়ে দেওয়ার জন্য টাকা চায়। এনিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম। তবে, এবার দালাল রুখতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তৎপর হওয়ায় সকলেরই সুবিধা হবে। আশা করি দালালরাও এবার হাসপাতাল ঢুকতে ভয় পাবে।