পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র এদিন বেথুয়াডহরি এলাকায় প্রচার চালান। ছুটির দিনটিকে কাজে লাগিয়ে এলাকার গ্রামগুলিতে ঘুরেছেন তিনি। একইসঙ্গে দলের কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। প্রতিটি এলাকাতেই সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সাড়া পেয়েছেন তিনি। দলের কর্মী সমর্থকরা প্রার্থীর সঙ্গে থেকে প্রচারে ঝড় তুলেছেন। এলাকার তৃণমূল বিধায়ক কল্লোল খাঁ বলেন, আমাদের প্রার্থী প্রচারে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন। এই এলাকা থেকে এবার প্রচুর লিড পাবেন তিনি।
এদিন সকাল থেকেই ভোট প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী রুপালি বিশ্বাস। এদিন তিনি বগুলা শ্মশানে কালীমন্দিরে পুজো দিয়ে রবিবারের প্রচারের কাজ শুরু করেন। সকাল থেকেই রুপালিদেবীর সঙ্গী ছিলেন রানাঘাট উত্তর পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক সমীরকুমার পোদ্দার। রূপালিদেবী প্রথমে হুড খোলা গাড়িতে বগুলা বাজার সহ স্থানীয় জনবহুল পথ পরিক্রমণ করেন। কখনও আবার তিনি গাড়ি থেকে নেমে মিশে যান সাধারণ মানুষের মাঝে। বগুলা সহ হাঁসখালি ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে সাধারণ মানুষ রাস্তার দু'পাশে রুপালি বিশ্বাসকে দেখবার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন। প্রচারে এদিন বগুলাবাসীদের উদ্দেশ্যে রুপালি দেবী বলেন, আমার স্বামীর রেখে যাওয়া অসম্পূর্ণ কাজ আমি আপনাদের জন্য করতে চাই। সেই কাজে বগুলার প্রতিটি মানুষকে পাশে পেতে চাই। এরপর তিনি বগুলা ছেড়ে দত্তপুলিয়ার উদ্দেশে রওনা হন। রানাঘাট উত্তর পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের দত্তপুলিয়া সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় এদিন সাধারণ মানুষের পাশাপাশি দলীয় কর্মীদের সঙ্গে প্রচার করেন রুপালিদেবী। দুপুরে দত্তপুলিয়ায় কিছুটা সময় বিশ্রাম নেওয়ার পর আবার তিনি ধানতলা বাজার সংলগ্ন স্থানীয় একটি মাঠে দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে সভা করেন।
অন্যদিকে এদিন থেকে প্রথম প্রচার শুরু করেন কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন ফুটবলার কল্যাণ চৌবে। গত বৃহস্পতিবার দোল উৎসবের দিন তাঁর নাম ঘোষণার পর থেকেই তিনি ‘বহিরাগত’ হওয়ায় দলের মধ্যেই প্রবল ক্ষোভ রয়েছে। তাই প্রার্থী বদলের দাবিও উঠেছে। এর মধ্যেই এদিন কৃষ্ণনগরের আনন্দময়ী মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেন। পীরতলায় চাদর চড়ান। এরপর শহরে রোড শো করে ঘূর্ণিতে দলীয় মহিলা কর্মী সম্মেলনে যোগ দেন তিনি। রোড শোতে অবশ্য তেমন ভিড় হয়নি। প্রার্থীকে দেখার জন্যও এলাকার বাসিন্দাদের রাস্তায় অপেক্ষা করতে দেখা যায়নি। কল্যাণবাবু বলেন, গত ১০ বছর ধরে এখানে একজন এমপি ছিলেন। তিনি এখানকার সমস্যা দিল্লিতে কতটা তুলে ধরেছেন, তা এখানকার মানুষ জানেন। তাঁকে এখানকার মানুষ কতটা কাছে পেয়েছেন, তাও জানেন। আমার সৌভাগ্য নরেন্দ্র মোদি আমায় প্রার্থী করেছেন। যদি সুযোগ হয় এলাকার প্রতিনিধি হয়ে এখানকার সমস্যা আমি তুলে ধরব। সত্যব্রত মুখোপাধ্যায় ওরফে জলুবাবু প্রার্থী না হওয়ায় ক্ষোভ প্রসঙ্গে কল্যাণবাবু বলেন, জলুবাবুর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। ওনার আশীর্বাদ আমার সঙ্গে রয়েছে। উনি আগামী মঙ্গলবার কৃষ্ণনগরে আসছেন। উনি আমার জন্য ভোট চাইবেন নদীয়ার মানুষের কাছে। এদিকে রানাঘাট কেন্দ্রে এখনও প্রার্থী ঘোষণা না হওয়ায় গেরুয়া শিবির মুষড়ে পড়েছে।
রবিবার ছুটির দিনকে কাজে প্রচার চালান রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী রমা বিশ্বাস। এদিন তিনি হাঁসখালি ব্লকের ময়ূরহাট, গাজনা, কৃষ্ণগঞ্জ, মাজদিয়া সহ একাধিক এলাকা দলীয় কর্মীরা এই প্রার্থীর সঙ্গে ছিলেন। কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী শান্তনু ঝাঁ প্রচার সেরেছেন কৃষ্ণনগর শহর সংলগ্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে। সবমিলিয়ে নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ভোট প্রচারকে কেন্দ্র করে তত সরগরম হচ্ছে রাজনৈতিক ময়দান।