পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিজেপির তমলুক জেলা সভাপতি প্রদীপ দাস বলেন, প্রথমে কর্মীরা সিদ্ধার্থবাবুর পরিচয় না জেনে কিছুটা হতাশ হয়েছিলেন। এখন সমস্ত কিছুই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আমরা শৃঙ্খলাবদ্ধ দল। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য, মোদিজির হাত শক্ত করা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজ্যের ২৮টি আসনের মধ্যে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে বিজেপি। কিন্তু প্রার্থী সিদ্ধার্থ নস্কর কে, তাঁর বাড়ি কোথায় জানতে জেলার শীর্ষ নেতারা হিমশিম খান বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। শুক্রবার তাঁরা রাজ্য নেতাদের থেকে জানতে পারেন সিদ্ধার্থবাবুর পরিচয়। পরে সকলে জানতে পারেন, নবদ্বীপের বাসিন্দা সিদ্ধার্থবাবু অল ইন্ডিয়া কীর্তন, বাউল অ্যান্ড ডেভোশনাল সিঙ্গারস ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট শিল্পী সংসদের সর্বভারতীয় সভাপতি। তাঁর আদি বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে। তিনি টিভি সিরিয়ালে শ্রীকৃষ্ণ চরিত্রে কাজ করেছেন। যদিও তাতেও চিঁড়ে ভেজেনি। তাই জেলার নেতা-কর্মীরা এখনও সেভাবে প্রচারে ঝাঁপায়নি বলে দলেরই একাংশের দাবি।
সূত্রের খবর, শুক্রবার থেকে বিভিন্ন মণ্ডলের সভাপতিরা ক্ষোভ জানিয়ে জেলা সভাপতিকে চিঠি পাঠান। জেলা সভাপতিও প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে রাজ্যে দরবার করেন। কিন্তু রাজ্য নেতৃত্ব কড়া ভাষায় প্রার্থী বদল করা হবে না বলে জানিয়ে দেয়। তবে, এনিয়ে প্রকাশ্যে এখনও কেউ ক্ষোভ বিক্ষোভ না দেখালেও সেভাবে উৎসাহী হয়ে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়ার কোনও চিত্র এখনও চোখে পড়েনি। পূর্ব মেদিনীপুরের মতো জেলায় যেখানে শাসক দলের মজবুত সংগঠন সেখানে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ থাকায় দলের কর্মী সমর্থকরা কতটা আন্তরিকভাবে কাজ করবেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
রবিবার দুপুরে সিদ্ধার্থবাবু তমলুক শহরে প্রথম পা রাখার পর বর্গভীমা মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর মহাপ্রভু মন্দিরে পুজো দিতে যান। এই দুই জায়গায় তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য কোনও জেলা নেতা উপস্থিত ছিলেন না। এরপর তিনি চণ্ডীপুরে যুব মোর্চার সভায় যান। বিকেলে তমলুকের কাঁকগেছিয়া পার্টিঅফিসে কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করার পর সন্ধ্যায় ময়নায় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
তিনি খোলাখুলি বলেন, আমি মাধ্যমিক অনুত্তীর্ণ। তমলুকে উন্নয়নের নামে ধাপ্পাবাজি দেওয়া হয়েছে। উন্নয়নের ধারা তমলুক কেন্দ্রে বইয়ে দেওয়ার জন্য আমি ভোটে লড়াই করতে এসেছি।