রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুসারে শনিবার জেলায় মহকুমা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ শিবির শুরু হয়। প্রথমদিনের শিবিরে প্রিসাইডিং ও ফার্স্ট পোলিং অফিসারদের ডাকা হয়েছিল। ওইদিন বিভিন্ন শিবিরে অতিরিক্ত জেলাশাসক ও ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটরা উপস্থিত ছিলেন। জায়ান্ট স্ক্রিনের মাধ্যমে জেলাশাসকের ভিডিও বার্তা দেখিয়ে শিবিরের সূচনা করা হয়। সকাল ৯টা থেকে প্রিসাইডিং অফিসার এবং বেলা ১টা থেকে ফাস্ট পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। শিবিরে উপস্থিতির হার পর্যালোচনা করে জেলা প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি রিপোর্ট পাঠায়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচ মহকুমার প্রশিক্ষণ শিবিরে ৮১১ জন অনুপস্থিত ছিলেন। রবিবার তাঁদের বাড়ির ঠিকানায় শোকজের চিঠি পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জেলাশাসক পি উলগানাথন বলেন, কমিশনের নির্দেশমতো শিবিরে অনুপস্থিত কর্মীদের শোকজ করা হচ্ছে। তাঁদের জবাব পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার সদর মহকুমা বহরমপুর প্রথমদিনের শিবিরে প্রিসাইডিং ও ফার্স্ট পোলিং মিলিয়ে ৩৭৪৬ জনকে ডাকা হয়েছিল। যারমধ্যে অনুপস্থিত ছিলেন ৩৩৭ জন। জঙ্গিপুর মহকুমায় ৩২৭৪জনের মধ্যে ১৬২জন, কান্দিতে ২৪১১ জনের মধ্যে ১০২ জন, লালবাগ মহকুমায় ২৫০৪ জনের মধ্যে ১৩৬ জন এবং ডোমকল মহকুমায় ১৭৯১ জনের মধ্যে ৭৪ জন অনুপস্থিত ছিলেন। যারমধ্যে প্রিসাইডিং অফিসারের সংখ্যা বেশি, ৪৫২ জন। আর অনুপস্থিত ফার্স্ট পোলিং অফিসারের সংখ্যা ৩৫৯ জন। এদিকে, রবিবার পাঁচটি মহকুমায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় পোলিং অফিসারদের নিয়ে প্রশিক্ষণ শিবিরেও বহু অফিসার অনুপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এদিন ডোমকলে প্রশিক্ষণ শিবির পরিদর্শন করেন খোদ জেলাশাসক। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, এদিন প্রায় ৬৪৫ জন অনুপস্থিত ছিলেন। যারমধ্যে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পোলিং অফিসারের সংখ্যা, যথাক্রমে ২১৬ এবং ৪২৯জন। এঁদেরও শোকজ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক অফিসার বলেন, দু’দিনের শিবিরে উপস্থিতির হার ভালোই ছিল। তবে, অনুপস্থিত প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসারদের পরবর্তীতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
অন্যদিকে, ভোটের ডিউটির নিয়োগপত্র বিলি করার পরই ভোটের ডিউটি থেকে নাম কাটানোর জন্য বহু শিক্ষক আবেদন করেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই আবেদনকারীদের কেউ কেউ বলেছেন, স্ত্রী সন্তানসম্ভবা। তাঁকে দেখভাল করার জন্যই ভোটের ডিউটিতে যোগ দিতে পারব না। আবার কেউ কেউ বলেছেন, ভোটের মরশুমেই স্ত্রী সন্তান প্রসব করবেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। আবার অনেকে বলেছেন, কয়েকমাস আগে হার্টের বাইপাস সার্জারি করা হয়েছে। তাই ভোটের ডিউটি থেকে অব্যাহতি দিলে ভালো হয়। এমন ধরনের প্রায় ১০০০টি আবেদন পড়েছিল। আবেদনকারীদের মেডিক্যাল বোর্ডে হাজির করা হয়। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মেডিক্যাল বোর্ড গড়া হয়েছে। প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, মেডিক্যাল বোর্ড অধিকাংশ আবেদনকারীকে ফিট বলে জানিয়েছে। তাই তাঁদের আবেদন খারিজ করা হয়েছে। আর কয়েকজন বলেছিলেন, স্ত্রী গর্ভবতী। কিন্তু, তাঁদের রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করে জানা গিয়েছে, ভোটগ্রহণ পর্বের আশপাশে তাঁদের স্ত্রীর সন্তান প্রসবের সম্ভাবনা নেই। তাছাড়া, তাঁদের বাড়িতে লোক আছে। তাই তাঁদের আবেদনও বাতিল করা হয়েছে।
এরবাইরে ভোটের ডিউটি থেকে নাম কাটানোর জন্য রাজনৈতিক দলগুলি বেশ কিছু আবেদন জমা দিয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সবচেয়ে বেশি আবেদন এসেছে শাসকদল তৃণমূল থেকে। সেগুলি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যেসব শিক্ষক সরাসরি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত, শুধুমাত্র তাঁদের নামই ডিউটি থেকে কাটা যেতে পারে।