পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
দ্বিতীয় দফার প্রচারে এদিন সুব্রতবাবু বাঁকুড়ায় পা রাখেন। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে সুব্রতবাবু পরপর দু’টি বৈঠক করেন। প্রথমে তিনি বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহ সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে সুব্রতবাবুর পাশাপাশি বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি অরূপ খাঁ সহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রার্থী তৃণমূল আইজীবী সেলের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলন করে সুব্রতবাবু বলেন, সিপিএমকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি না। এখনও বিজেপি-র প্রার্থী কে তা জানি না। দলীয় শৃঙ্খলা না মানা সহ অন্যান্য কারণে আমরা অনেককে বহিষ্কার করি। বিজেপি বাঁকুড়ায় সেইরকম কোনও নেতার জন্য অপেক্ষা করছে। আমাদের দলের উচ্ছিষ্টদের ওরা বরণ করে প্রার্থী করছে। ওদের দলে প্রার্থী হওয়ার মতো যোগ্য লোক নেই বলেই ওরা এমন কাজ করছে। আমি এর পর থেকে টানা বাঁকুড়ায় থেকে প্রচার করব। বাঁকুড়ার উন্নয়ন করার জন্য জেলায় এসেছি। আমি এই জেলাকে ভালোবাসি, আমি বাঁকুড়ার মানুষকে ভালোবাসি।
এদিকে, বাঁকুড়া জেলার কয়েকজন হেভিওয়েট নেতানেত্রীকে সেভাবে সুব্রতবাবুর সঙ্গে দেখা যাচ্ছে না। প্রচার, সভা বা দলীয় বৈঠকে তাঁরা যোগ দিচ্ছেন না। জেলা তৃণমূলের অন্দরে গোষ্ঠী কোন্দল কী নির্বাচনের ফলে প্রভাব ফেলবে? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে সুব্রতবাবু বলেন, গান্ধীজি, নেহরুজির আমল থেকে দক্ষিণপন্থী দলে নেতাদের মধ্যে মনোমালিন্য রয়েছে। তবে বিরোধীদের সঙ্গে লড়াইয়ের সময় তা মিটে যায়। আমার সঙ্গে জেলা তৃণমূলের সব নেতা ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি রয়েছেন।
অরূপবাবু বলেন, আজ, রবিবার সকালে জেলা তৃণমূল কমিটির সঙ্গে সুব্রতবাবু বৈঠক করবেন। পাশাপাশি তৃণমূলপন্থী শিক্ষক ও অধ্যাপকদের নিয়েও তিনি পৃথক বৈঠক করবেন। সোমবার থেকে প্রার্থী ব্লকে ব্লকে কর্মিসভা করবেন।