পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ওল্ড দীঘার সমুদ্রে ওই চারজন যুবক স্নান করতে নামে। ওল্ড দীঘায় সেই অংশটি স্নানের ক্ষেত্রে বিপজ্জনক হওয়ায় পুলিস-প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। কিন্তু, ওই যুবকরা কোনওরকম নিষেধাজ্ঞা না মেনে স্নান করতে থাকে বলে অভিযোগ। কর্তব্যরত পুলিসকর্মী ও নুলিয়ারা স্নান করতে নিষেধ করলে এনিয়ে যুবকরা বচসা জুড়ে দেয়। অভিযোগ, সেই সময় ওই যুবকরা নুলিয়াদের মারধর করে। এরপর পুলিস চারজন যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। অভিযোগ, পুলিস ওই যুবকদের লকআপে ঢুকিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এনিয়ে এলাকার শতাধিক মহিলা ও স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় এসে বিক্ষোভ দেখান। মহিলারা অভিযোগ করেন, কোন অপরাধে ওই চার যুবককে আটক করা হয়েছে এবং লকআপে ঢুকিয়ে মারধর করা হয়েছে, এবিষয়ে জানতে চাইলে আমাদের কয়েকজনকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে থানা থেকে বের করে দেওয়া হয়। এমনকী তাদের শ্লীলতাহানি করা হয়। এরপর মহিলারা থানার সামনে রাস্তায় শুয়ে পড়ে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পরে কাঁথি মহকুমা পুলিস আধিকারিক মহম্মদ উল হাসান দীঘা ও রামনগর থানার পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে দীঘা কোস্টাল থানায় যান। মহকুমা পুলিস আধিকারিক বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। তাঁর আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। চাপে পড়ে পুলিস লকআপে থাকা যুবকদের দীঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসাও করায় বলে দাবি বিক্ষোভকারীদের। এদিকে পুলিস এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করে এবং আটক অভিযুক্ত চার যুবককে গ্রেপ্তার করে।
দীঘা কোস্টাল থানার ওসি গোপাল পাঠক বলেন, মারধরের অভিযোগ মিথ্যা। শুধু জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। কাউকে মারধর করা হয়নি। বরং ওই যুবকরা স্নানের সময় পুলিসি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেছিল। তাদের বাধা দিতে গেলে ওরাই নুলিয়াদের মারধর করেছিল। তাই তাদের আটক করা হয়েছিল। পরে গ্রেপ্তার করে আদালতে পেশ করা হয়েছে।