বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিন দুপুরে সভায় যোগ দেওয়ার আগে পার্থবাবু হরিণঘাটায় দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক সারেন। রানাঘাট-১ ব্লকের রামনগর তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে কর্মীদের নিয়ে তিনি অভ্যন্তরীণ সভা করেন। তারপর আইশতলা সন্ন্যাসী বাজারের মাঠে প্রস্তুতি সভায় অংশ নেন। মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পার্থবাবু প্রথমেই এদিন রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী রুপালি বিশ্বাসের সঙ্গে দলীয় কর্মী সমর্থকদের পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর রুপালি দেবীকে কেন এই লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করা হয়েছে, সেই প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, সত্যজিৎকে হত্যা করে তৃণমূল দলটাকে শেষ করা যাবে না। তাঁর স্ত্রী সদ্য ২৫ বছর পার করল। কঠিন কাজে বারবার দল রুপালির স্বামীর কথা মনে করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই রুপালি রাজনীতিতে এসেছে। প্রার্থী পরিচয়ের পরই পার্থবাবু এদিন বিরোধীদের একযোগে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম তখন বারবার প্রশ্ন করেছি ৩৪ বছরে কী পেলাম। আর এখন বিরোধীরা প্রশ্ন করবে সাত বছরে কী পেয়েছি? এই প্রশ্নের উত্তরটাই মানুষকে ভালো করে বোঝাতে হবে। সাত বছরে রাজ্যের যে সকল উন্নয়ন হয়েছে, সেই সকল উন্নয়ন মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বলতে হবে দলীয় কর্মীদের।
বিজেপিকে কটাক্ষ করে এদিন পার্থবাবু বলেন, নিজে সংসার করতে পারেন না। অথচ অন্যের সংসার ভাঙার লক্ষ্য নিয়েছেন। অখণ্ড ভারতের নামে ভারতকে ভাঙতে চাইছে কেন্দ্রের সরকার। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতার প্রসঙ্গ নিয়ে তিনি বলেন, দু’কোটি বেকারের চাকরি দেওয়ার নামে চার কোটি মানুষ কর্মহারা হয়েছেন। রাজ্যের উন্নয়নের প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পার্থবাবু বলেন, রাজ্যের ক্ষুদ্র শিল্প ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। রাজ্যের ৪০ শতাংশ বেকারত্ব কমেছে। কর্মসংস্থানের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত একাধিক প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে মানুষ সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন রাজ্য সরকারের কাছ থেকে।
পার্থবাবু এদিন রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী রুপালি বিশ্বাসকে বলেন, মনের ব্যথা দুঃখকে আগুনে পরিণত করতে হবে। পাশাপাশি দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, রুপালিদেবীর চোখের জল আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের মধ্য দিয়েই প্রতিবাদের ভাষায় পরিণত করে ইভিএম মেশিনে তার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তথা নদীয়া জেলার পর্যবেক্ষক পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, নীরব মোদীকে বিদেশে পাঠিয়ে, দেশে নাটক করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এদিনের সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন নদীয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু, নদীয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত, বিধায়ক শংকর সিংহ, শান্তিপুরের চেয়ারম্যান অজয় দে, রানাঘাট-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তাপস ঘোষ সহ ব্লকের দশটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও অন্যান্য সদস্যরা।
পার্থবাবুর বক্তব্য রাখার আগে নদীয়া জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত বলেন, শত্রুদের ইতিহাসের আবর্জনায় পরিণত করতে হবে। জওয়ানদের রক্ত নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। এদিকে, এদিনের সভায় রানাঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় সহ রানাঘাট শহর তৃণমূলীদের আমন্ত্রণ না জানানোয় দলের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।