বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সপ্তাহ খানেক আগের থেকেই রানাঘাট বাজারের বিভিন্ন দোকানে শুরু হয়ে গিয়েছে আবির বিক্রি। বুধবারও রানাঘাটের রেলবাজারের বিভিন্ন আবির ও রং বিক্রেতারা অনেক রাত পর্যন্ত বিক্রিবাটা করেন। দোকানগুলিতে বিভিন্ন রঙের আবির, পিচকারি ও ছোটদের রং বন্দুক, বিভিন্ন মুখোশ বিক্রির রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলে। বিক্রেতা গণেশ বিশ্বাস বলেন, হোলির জন্য আমরা প্রতিবছরই অপেক্ষায় থাকি। ফল বিক্রির পাশাপাশি এই কদিন বিভিন্ন রঙের আবির ও রং বিক্রির করি। আরেক রং বিক্রেতা বলেন, এবছর আবিরের চাহিদা বেশ ভালো। কচিকাঁচাদের আকর্ষণ বাড়ানোর জন্য বিকেলের পর আমি নিজেই বিভিন্ন রকম মুখোশ পরে আবির ও রং বিক্রি করেছি। নিজের মনের টানেও একপ্রকার রং বিক্রির কাজ করে থাকি।
রানাঘাট শহরের প্রবীণ বাসিন্দা লাবণ্যময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি ছোট থেকেই রানাঘাট শহরে রয়েছি। আমাদের ছেলেবেলায় বাবা-মা রং খেলার জন্য বাড়িতে রাখা পুরনো জামাকাপড় বের করে দিতেন। সেই জামাকাপড় পরেই আমরা শহরের এপাড়া থেকে ওপাড়ায় গায়ে রং মেখে সকাল থেকেই হুড়োহুড়ি করতাম। বর্তমান প্রজন্মের অভিভাবকরা পুরনো জামাকাপড় নয়, রং খেলার জন্য বরং সাদা-হলুদ নতুন পোশাকেই বেশি ব্যস্ত। পাশাপাশি পটল রং, মাথা ফাটা রং, সোনালি-রুপালি রং বাজার থেকে ধীরে ধীরে উধাও হয়ে গিয়েছে। এখন আবার মুখে, গালে, কপালে আবিরের টান দিয়েই ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে ব্যস্ত নবীন প্রজন্ম। পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে ঘুরে রং খেলার সেই ঐতিহ্য এখন আর তেমনভাবে চোখে পড়ে না।
অনেকেই আবার শান্তিনিকেতনে বসন্ত উৎসব পালন বেশি পছন্দ করেন। রানাঘাট সহ শান্তিপুর, হবিবপুর, বাদকুল্লা, বীরননগর থেকেও বহু মানুষ বুধবার সকাল থেকেই রওনা দিয়েছেন বোলপুরের উদ্দেশে। আবির মাখিয়ে বসন্ত উৎসবে মাততে বারবার ফিরে যেতে হয় বোলপুরে। এমনটাই জানালেন রানাঘাটের বাচিকশিল্পী চন্দ্রজিৎ প্রামাণিক। বসন্ত উৎসব উপলক্ষে রানাঘাট, শান্তিপুরে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন বসন্ত উৎসব উদযাপন করছে। পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরাও খোলাবাজারে তাদের দলীয় রঙের আবির কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন।