পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিন প্রচারে বেরিয়ে তৃণমূল প্রার্থী জেলার আরও উন্নয়নের জন্য ভোট দিতে ভোটারদের আহ্বান জানান। মহুয়া বলেন, প্রচারে মানুষের মধ্যে ভালো সাড়া পাচ্ছি। এই কেন্দ্র থেকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। এদিন সিপিএম প্রার্থী শান্তনু ঝাঁ দোগাছি ও পাত্রবাজারে প্রচার করেন। তিনি বলেন, আমরা প্রচার চালাচ্ছি। সিপিএমই একমাত্র পারে বাংলা ও ভারতের উন্নতি করতে। আশা করছি এলাকার মানুষ আমাদেরকেই জয়ী করবেন।
অন্যদিকে, এদিন মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের খান ও সিপিএম প্রার্থী বদরুদ্দোজা খানও করিমপুর বিধানসভা এলাকায় প্রচার সারেন। আবু তাহের সাহেব এদিন কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে করিমপুর এলাকায় প্রচার করেন। তাঁর প্রচার ঘিরে এলাকার মানুষ ও কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিন তিনি মানুষের এই উৎসাহ দেখে বলেন, এই কেন্দ্রে আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। এদিন তিনি আরও বলেন, করিমপুর বিধানসভা বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী। এখানে সীমান্ত নিয়ে মানুষের প্রচুর সমস্যার কথা আমি শুনেছি। জেতার পর আমার প্রথম কাজ হবে এই সীমান্ত এলাকার সমস্যার সমাধান করা। এরপরে করিমপুরে আরও উন্নয়ন করা হবে। আমাদের দলের বিধায়ক হওয়ার পরে যেভাবে করিমপুরে উন্নয়ন হয়েছে সেভাবে এই উন্নয়ন চালিয়ে যেতে হবে। তাই মানুষের মধ্যে প্রচার চালাচ্ছি।
অন্যদিকে, সিপিএমের প্রার্থী বদরুদ্দোজা খান কর্মী বৈঠক করে করিমপুর বাজার এলাকায় প্রচার করেন। তিনি বলেন, এই পাঁচ বছরে আমার এমপি ল্যাডের কোটার টাকা সবটাই খরচ করেছি। আমার আমলে এলাকার প্রচুর উন্নয়ন হয়েছে। এবারও এই কেন্দ্রে মানুষ আমাকে আশীর্বাদ করবেন। অন্যদিকে, কৃষ্ণনগরে বিজেপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা না হওয়ায় মুষড়ে পড়েছে নিচুতলার বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। তাঁরা ফাঁকা দেওয়ালে চুনকাম করলেও দেওয়াল লিখনের কাজ শুরু করতে পারেনি বা প্রচারও শুরু করতে পারেনি। একই অবস্থা কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস কর্মীদের।
অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা সত্ত্বেও করিমপুরে কংগ্রেস সেভাবে প্রচারে নামেনি। এই কেন্দ্রে আবু হেনা কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছেন। দেওয়াল লিখনও শুরু করতে পারেনি কমীর-সমর্থকরা। এই কেন্দ্রে তৃণমূল ও সিপিএম দুই দল প্রার্থী ঘোষণা আগেই করেছে। বিজেপি এখনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি। অথচ এই কেন্দ্র কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এই কেন্দ্র থেকে ২০০৪ ও ২০০৯সালে জয়ী হন কংগ্রেসের মান্নান হোসেন। বিগত লোকসভা নির্বাচনেও তিনি কংগ্রেসের হয়ে দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় স্থান পান। করিমপুর বিধানসভায় বরাবর বামেদের ঘাঁটি থাকলেও কংগ্রেসের এখানে ভালো শক্তি ছিল। গত বিধানসভায় কংগ্রেস ও সিপিএম জোট করলেও এই আসনটি ছিনিয়ে নেন তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র। কংগ্রেসের করিমপুর-১ ব্লক সভাপতি সুভাষ মণ্ডল বলেন, দলীয় নেতৃত্বের কথামতো কর্মীদের দেওয়াল লিখন ও প্রচার চালাতে বলা হয়েছে।