বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পশ্চিম বর্ধমানের তৃণমূলের জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন দাসু বলেন, নতুন আড়াই লক্ষ যে পোস্টার এবং হোর্ডিং তৈরি হবে, তাতে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবির পাশাপাশি সুচিত্রা সেনেরও ছবি থাকবে। সেখানে দলের প্রার্থীরও ছবি থাকবে। লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গায় সেই হোর্ডিং এবং পোস্টার লাগানো হবে।
মুনমুনদেবী প্রচারের প্রথম দিনেই আসানসোলের সভায় বলেন, আপনারা আমার মা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্মানরক্ষার জন্য তৃণমূলকে জয়ী করুন। আপনারা নিশ্চয় আমার মায়ের কথা শুনেছেন। আমার দুই মেয়ে রিয়া এবং রাইমা প্রচারে আসবেন। তাঁরা অভিনেত্রী হিসেবে আসবেন না। মায়ের সম্মানরক্ষা করার জন্য আসবেন।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, সুচিত্রা সেনের ছবি হোর্ডিংয়ে রেখে বাঙালির আবেগ উস্কে দিতে পারলে তৃণমূল লাভবান হবে। প্রবীণ ভোটারদের অনেকের কাছেই সুচিত্রা সেন এখনও মিথ। প্রিয় নায়িকার ছবি হোর্ডিংয়ে দেখা গেলে ভোটারদের মন জয় করা যাবে। এমনিতে অল্পবয়সিদের মধ্যে মুনমুন এখনও জনপ্রিয়। তাঁকে ঘিরে ভিড় দেখে তা ভালোই টের পাওয়া যাচ্ছে। তাই তিনি যেমন অল্প বয়সিদের ভোট টানতে পারবেন, তেমনই সুচিত্রা সেনকে দেখে প্রবীণদের অনেকেই প্রভাবিত হবেন। স্বপ্নের নায়িকার মেয়েকে জয়ী করতে তাঁরা পরিবারের অন্যান্যদেরও উৎসাহিত করবেন বলে অনেকে মনে করছেন।
বুধবার জামুড়িয়ার চিচুড়িয়ার সভায় এসেছিলেন প্রবীণ তৃণমূলকর্মী স্বপন দাস। তিনি বলেন, আমাদের সময় নায়িকা বলতে সুচিত্রা সেনকেই চিনতাম। তাঁর ঠোটের কোণে হাসি, এখনও চোখ বন্ধ করলেই ভেসে ওঠে। তাঁর মেয়েকে আমরা প্রার্থী হিসেবে পাব বলে কোনওদিনই ভাবতে পারেনি। আমরা তাঁর কাছে থেকে সুচিত্রার অনেক না জানা কথা শুনতে চাই। তিনি বাঙালিদের বিনোদনমাত্রাকে বাড়িয়ে তুলেছিলেন। তাই তাঁর মেয়েকে জয়ী করতে সবরকম চেষ্টা করব।
জামুড়িয়ার নরেশ বাউরি আবার মুনমুন সেনের মধ্যেই সুচিত্রা সেনকে খুঁজে পান। তিনি বলেন, মা ও মেয়ে দেখতে অনেকটা একইরকম। আমি সুচিত্রা সেনের বহু সিনেমা দেখেছি। তাঁর মেয়ে আমাদের জেলায় এসেছেন তাঁকে তো সম্মান দিতেই হবে।
এদিকে, পোস্টার এবং হোর্ডিংয়ে সুচিত্রা সেনের ছবি লাগানোর সিদ্ধান্তে খুশি তৃণমূলের ব্লকের নেতারাও। রানিগঞ্জের তৃণমূল ব্লক সভাপতি বাবু রায় বলেন, উত্তমকুমার এবং সুচিত্রা সেনের অভিনীত সিনেমাগুলি পরপর নাম ধরে বলে দিতে পারি। ওই জুটির অধিকাংশ সিনেমা হিট হয়েছিল। তাই যাঁদের বয়স ৪৫ বছরের বেশি, তাঁরা হোর্ডিংয়ে সুচিত্রাকে দেখলে অনুপ্রাণিত হবেন। এটা আমাদের কাছে বাড়তি পাওনা।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে হোর্ডিং এবং পোস্টার তৈরির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। সামনের সপ্তাহের শেষের দিকেই তা তৈরি হয়ে যাবে। তারপরেই প্রতিটি ব্লকে সুচিত্রার ছবি দেখা যাবে। মুনমুন সেনও বিষয়টিতে সম্মতি জানিয়েছেন। বুধবার তৃণমূলের জেলা সভাপতি জামুড়িয়ার মঞ্চ থেকে তাঁর সম্মতি চান। তিনি ঘাড় নেড়ে তাতে অনুমতি দেন। তারপরই হোর্ডিং তৈরির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।