রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
এদিন দেব মঞ্চে উঠেই উপস্থিত দলীয় নেতাদের উদ্দেশে বলেন, আমি দাদাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি ২০১৪ সালে যখন নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলাম, তখন রাজনীতি সম্বন্ধে কিছুই জানতাম না। আমাকে হাতেখড়ি দেওয়ার মতো করে দাদারা শিখিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের সাধারণ মানুষের পাশে আরও বেশি করে থাকতে হবে। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ নিবিড় করতে হবে। তাহলেই আমাদের ভোট পেতে কোনও সমস্যা হবে না। কারণ দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) রাজ্যের জন্য সাত বছরে যা করেছেন, ৭০বছরেও অন্য কোনও দল তা করতে পারেনি, পারবেও না। তিন তিনবার তিনি বেস্ট চিফ মিনিস্টার হিসেবে সম্মানিত হয়েছেন। তাই এবার তিনিই একমাত্র ব্যক্তি, যাঁর হাতে দেশের দায়িত্ব দেওয়া দরকার।
দেব কর্মীদের বলেন, বিগত পাঁচ বছরে আমি আমার সাধ্যমতো আপনাদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। দিদি যখন আমাকে আবার দায়িত্ব দিয়েছেন, আমি চেষ্টা করব আগামী পাঁচ বছরও ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের অধীন সমস্ত এলাকার কথা ভাবতে। কারণ ঘাটালের প্রতি আমার বিশেষ দুর্বলতা রয়েছে। খুব ছোট থেকেই ঘাটালে এসেছি। ঘাটালের বন্যাও দেখেছি।
এদিনের কর্মিসভায় মেদিনীপুরের তৃণমূল প্রার্থী মানসরঞ্জন ভুঁইঞা বলেন, আমি মেদিনীপুরে দাঁড়ালেও মাঝেমধ্যেই ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে এসে ঘুরে যাব। কারণ, আমাকে বিধায়ক এবং সভাপতিদের অ্যাক্টভিটি লক্ষ্য করতে হবে। এবারের ভোটে কোনওরকম আপস করা যাবে না।
মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র কর্মীদের মাঠে নেমে পড়ার নির্দেশ দিয়ে বলেন, দেবের জয়লাভ তো হবেই। জয়ের ব্যবধান অনেক বাড়াতে হবে। এদিন উপস্থিত তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি কর্মিসভাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী হাত ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হুমকি দেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী বেশি বাড়াবাড়ি করলে, বাড়ি গিয়ে ভয় দেখালে বাহিনীর হাত ভেঙে মুচড়ে দিতে হবে। ওদের বাড়াবাড়ি কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।
ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের সাম্ভাব্য এক বিজেপি প্রার্থীর নাম না করে তাঁকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, জেলার বহু সোনার দোকানের মালিক সোনার দাম না পেয়ে চোখের জল ফেলছেন। লরির চালকরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে তাঁদের হয়রানির কথা এখনও ভুলতে পারেননি। তাই তিনি যদি প্রার্থী হন, সেটা আমাদের সৌভাগ্য হবে। দেবের জয়ের ব্যবধান অনেকটাই বেড়ে যাবে।
ঘাটালের বিধায়ক শঙ্কর দোলই বলেন, গতবার দেব ২ লক্ষ ৬০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছিল। সেই ব্যবধান এবার তিন লক্ষের বেশি করতে হবে। কেশপুরের বিধায়ক শিউলি সাহা বলেন, আমি কেশপুর থেকেই দেবকে দেড় লক্ষের বেশি ভোট লিড দেব। তৃণমূলের ঘাটাল শহর সভাপতি অরুণ মণ্ডল এবং ব্লক সভাপতি দিলীপ মাজি বলেন, দলীয়ভাবে লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের বহু কর্মিসভা, মিটিং, মিছিল হলেও এবার দেবকে নিয়ে এটিই প্রথম কর্মিসভা।
এদিনের কর্মিসভায় ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের অধীন সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের অর্ন্তগত সমস্ত বিধায়ক, তিনটি পুরসভার চেয়ারম্যান, সমস্ত ব্লকের দলীয় সভাপতি, অঞ্চল সভাপতি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, দলীয় প্রতীকে নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রধান এবং পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। দলীয় কর্মিসভা হলেও এদিন দেবকে দেখার জন্য মঞ্চের আশেপাশে সাধারণ মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সভা শুরুর বহু আগে থেকেই তাঁরা ভিড় জমিয়েছিলেন। দেবের সঙ্গে সেলফি তোলা এবং অটোগ্রাফ নেওয়ার জন্য যুবক-যুবতী ও কলেজ পড়ুয়াদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।