পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকসভা ভোটের প্রার্থী হওয়ার পর তৃণমূলের প্রার্থী অপূর্ববাবু এখনও বাড়ি বাড়ি প্রচার শুরু করেননি। কিন্তু, প্রতিদিন নিয়ম করে লোকসভা এলাকার প্রতিটি জায়গায় কর্মীদের নিয়ে মিটিংয়ে ভোটের রণকৌশল তৈরি করছেন। কর্মীরা কীভাবে ভোট প্রচার করবেন, তা ব্যাখ্যা করছেন অপূর্ববাবু। কঠিন লড়াই জেনে প্রচারে কোনও খামতি রাখছেন না। নিয়ম করে বহরমপুর লোকসভা এলাকার রেজিনগর থেকে বড়ঞা চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। কখনও দলীয় নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠক করছেন, কখনও আবার সরাসরি কর্মিসভা করছেন।
এদিন কান্দি মহকুমা এলাকায় দু’টি কর্মিসভা করেন তিনি। প্রথমে দুপুরে তিনি বড়ঞা ব্লকের ডাকবাংলা গ্রামের একটি লজে কর্মীদের নিয়ে সভা করেন। সেখানে প্রায় ১৮০টি বুথ কমিটির সভাপতি ও এলাকার সমস্ত পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের সদস্যরা হাজির ছিলেন। সেখানে ভোটপ্রচারে দলীয় প্রার্থী কবে, কোন এলাকায় যাবেন, তা জানানো হয়। এছাড়াও দলের কর্মী এবং জনপ্রতিনিধিরা ভোটারদের কাছে কীভাবে ভোট চাইবেন, তা দলীয় নেতৃত্ব ব্যাখ্যা করে। কর্মীরা কীভাবে প্রচার করবেন তা বিশদে ব্যাখ্যা করেন অপূর্ববাবু। তাছাড়াও কর্মীদের নির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, প্রচারে কোনও খামতি রাখা যাবে না। কবে, কোন অঞ্চলে আমাকে যেতে হবে তা জানাবেন। প্রয়োজনে সরাসরি আমাকে ফোন করবেন। সাম্প্রদায়িক বিভেদ নিয়ে যারা রাজনীতি করছে, তাদের এই ভোটে সুযোগ দেওয়া যাবে না। অধীরবাবু বারবার এখানকার সংসদ সদস্য হয়েও এলাকায় কোনও কাজ করতে পারেননি। উনি শুধু ভোটের সময় এলাকায় ঘোরেন। বছরের বাকি সময় তাঁর দেখাই পাওয়া যায় না। মানুষের কাছে গিয়ে বোঝাতে হবে, তৃণমূল সরকার মানুষের জন্য কী করেছে।
এদিন সভার পাশাপাশি এলাকায় দেওয়াল লিখন কোন পর্যায়ে রয়েছে, তারও খোঁজ নেন। এ ব্যাপারে কান্দি মহকুমা তৃণমূল সভাপতি গৌতম রায় বলেন, এদিনের কর্মিসভায় পঞ্চায়েত সদস্য এবং কর্মীদের সঙ্গে প্রার্থীর পরিচয় করানো হয়েছে। ভোটে কোমর বেঁধে লড়াই করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, বিকেলে ভরতপুর আলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে ফের একটি কর্মিসভা করেন অপূর্ববাবু। সেখানে এলাকার ১৪৪টি বুথের সভাপতি, সক্রিয় কর্মী এবং জনপ্রতিনিধিরা হাজির হয়েছিলেন। সেখানে অপূর্ববাবু ছাড়াও হাজির ছিলেন কান্দি মহকুমা তৃণমূল সভাপতি, ভরতপুর-১ ব্লক তৃণমূলের দুই সভাপতি সঞ্জয় সরখেল ও নুর আলম। এদিন তৃণমূল কর্মীরা কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে অপূর্ববাবুকে বাইক র্যা লি করে কর্মিসভায় নিয়ে আসেন। কর্মিসভায় অপূর্ববাবু বলেন, লোকসভা ভোটে বিরোধীদের একইঞ্চি মাটি ছাড়া হবে না। মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে হবে। সাম্প্রদায়িক শক্তিকে উৎখাত করতে মানুষের ঘরেঘরে পৌঁছতে হবে।