কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
তৃণমূলের দাবি, মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু ও পুরসভার চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ বাগের উদ্যোগেই এই হাসপাতালের ভোল বদল হয়েছে। চিকিৎসা পরিষেবা ও হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নের বিষয়টি নিয়ে তাঁরা নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করে মুখ্যমন্ত্রীর গোচরে এনেছেন। স্থানীয় মন্ত্রী থেকে দলীয় নেতাদের সঙ্গে স্বাস্থ্যভবনের সমন্বয় গড়ে উঠেছে। সেকারণে ভোট প্রচারে আরও বহু উন্নয়নমূলক প্রকল্পের পাশাপাশি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের উন্নয়নের বিষয়টিও তারা গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরতে চাইছে। প্রসূতিদের নানা সুবিধা সহ প্রসবের আগে মাতৃযানে হাসপাতালে আনা ও প্রসবের পর সন্তান সহ প্রসূতিকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া সহ হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধের সুবিধার কথা তুলে ধরা হবে। এছাড়াও ঝাঁ চকচকে হাসপাতালের পরিবেশ ও উন্নত চিকিৎসা পরিষেবার বিষয়গুলিও থাকবে। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, প্রচারে দলের মহিলা সংগঠনকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কারণ, মহিলারা বাড়ির হেঁশেলে ঢুকেও উন্নয়নের কথা পরিবারের সদস্যদের জানাতে পারবেন। সেইমতো মহিলা সংগঠনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে তারা ময়দানে ঝাঁপিয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনা মহকুমা হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় ২০১৭ সালে গড়ে ওঠে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। এখানে অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি অপারেশনে চিকিৎসকরা সাফল্য পেয়েছেন। এসএনসিইউ, এইচডিইউ সহ বিভিন্ন ইউনিটের সুবিধা এখানে রয়েছে। সুপার স্পেশালিটি ও মহকুমা হাসপাতাল মিলিয়ে রয়েছে প্রায় ৫৫০টি বেড। একসময় রোগী এলেই রেফার করা হতো। বর্তমানে উন্নত পরিষেবার ফলে রেফারের সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসকদের পাশাপাশি প্রায় ১৫০জন নার্স প্রতিদিন রোগীদের পরিষেবা দিয়ে চলেছেন। আগে জটিল রোগের ক্ষেত্রে কলকাতা বা ভিনরাজ্যে ছুটতে হতো। বর্তমানে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে সেই সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে।
মন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি স্বপন দেবনাথ বলেন, উন্নয়নের কাছে বিরোধীদের লম্ফঝম্ফ নিস্ফলা হয়ে যাবে। এত উন্নয়ন, এত কম সময়ে দেশে কোথাও হয়নি। সরকারি প্রকল্প ও এলাকায় এলাকায় উন্নয়নের সঙ্গে কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের অত্যাধুনিক চিকিৎসা পরিষেবার বিষয় মানুষের কাছে তুলে ধরা হবে। আমাদের মহিলা কর্মীদের এই বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি বাড়ি গিয়ে তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কর্মযজ্ঞের সঙ্গে কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবার উন্নয়ন তুলে ধরা হবে।
কালনার মহিলা তৃণমূলের নেত্রী তথা জেলা পরিষদের সদস্য আরতি হালদার বলেন, ইতিমধ্যে আমরা প্রার্থী সুনীল মণ্ডলের হয়ে প্রচারে নেমে পড়েছি। প্রচারে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সরকারি নানা প্রকল্প তুলে ধরার পাশাপাশি আমাদের গর্ব কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের উন্নত চিকিৎসা পরিষেবার কথা তুলে ধরা হচ্ছে।
যদিও এ ব্যাপারে পূর্ব বর্ধমানের বিজেপির সহ সভাপতি ধনঞ্জয় হালদার বলেন, শুধু ঝাঁ চকচকে বিল্ডিং করে হাসপাতালের উন্নতি হয় না। হাসপাতালে চিকিৎসক ও কর্মী নেই। রোগী এলেই রেফার করে দেওয়া হয়। এগুলি আমরা মানুষের কাছে তুলে ধরব।