কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
রামপুরহাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশ্বিনী তেওয়ারি বলেন, গতবার ফল খারাপ হয়েছিল। কিন্তু, এবার আমরা বড় লিড দেব। তৃণমূল জেলা সম্পাদক তথা সাঁইথিয়ার নেতা দেবাশিস সাহা বলেন, প্রতিটি বুথে আমরা ভালো ব্যবধানে জিতব। বুথে বুথে গিয়ে ভোটারদের নিয়ে মিটিং করছি।
দুবরাজপুরের শহর সভাপতি প্রভাত চট্টেপাধ্যায়, প্রাক্তন চেয়ারম্যান পীযূষ পাণ্ডে বলেন, লোকসভা ভোট আমরা পুরসভার আদলে লড়ছি। শতাব্দী রায়কে ভালো লিড দেব।
বিজেপি জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেন, ওঁরা যাই করুন মানুষের মন আর জয় করতে পারবেন না। শুধু পুরসভায় নয়, এবার গ্রামেও আমরা ভালো ফল করব।
পাঁচ বছর আগে গত লোকসভা নির্বাচনে বীরভূম আসনে অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করে চমক দিয়েছিল বিজেপি। ভোটে যুদ্ধে তৃণমূল শেষ হাসি হাসলেও যথেষ্ট বেগ দিয়েছিলেন এই তারকা প্রার্থী। বিশেষ করে এই লোকসভা কেন্দ্রর অর্ন্তগত পুরসভাগুলিতে তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়ের থেকে এগিয়ে ছিলেন তিনি। সেবার সাঁইথিয়া শহরের ৪১টি বুথের মধ্যে ৩৯টিতে বিজেপি এগিয়ে ছিল। সিউড়ির ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫টিতে পদ্মফুলের প্রার্থী এগিয়ে ছিলেন। একইভাবে রামপুরহাটের ১৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র দু’টি ওয়ার্ডে তৃণমূল লিড নিতে পেরেছিল। এখানে তারা পিছিয়ে ছিল সাড়ে আট হাজার ভোটে। একইভাবে দুবরাজপুরেও তারা এক হাজারের বেশি ভোটে বিজেপির থেকে পিছিয়ে ছিল।
অনুব্রত মণ্ডলের জেলায় পুরসভাগুলির এমন করুণ ফল তৃণমূল নেতৃত্বের ঘুম কেড়েছিল। যদিও পরের বছরের পুরভোটে পাশা পাল্টে দেয় তৃণমূল শিবির। সাঁইথিয়া, সিউড়ি, রামপুরহাট তিনটি পুরসভা নির্বাচনে অধিকাংশ ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করে। একই ঘটনা ঘটেছিল বোলপুর পুরসভাতেও।
তবে এজন্য যথেষ্ট কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল শাসক শিবিরকে। প্রতিটি ওয়ার্ডে গিয়ে মিটিং করে কর্মীদের ক্ষোভ বিক্ষোভ শুনেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। কথা দিয়েছিলেন, সমস্যার সমাধান না হলে আর কোনও দিন ভোট চাইতে আসবেন না। একাধিক মিটিং, মিছিলের পাশাপাশি বুথে বুথে সাধারণ মানুষকে নিয়ে তিনি একাধিক বৈঠক করেন। পরে প্রতিটি ভোটারকে চিহ্নিত করে তাঁদের মন জয়ের কৌশল নেয় তৃণমূল। এরপর সিউড়ির ১৯টির মধ্যে ১৫টি, সাঁইথিয়ার ১৬টি মধ্যে ১৩টি, রামপুরহাটের ১৮টি মধ্যে ১০টি ওয়ার্ডে তারা জয়লাভ করে। সামগ্রিকভাবে লিডও পায় প্রতিটি পুরসভায়। এবার আসন্ন লোকসভা ভোটে সেই কায়দায় ভোট করে পুরসভার লিড আরও বাড়াতে চাইছে শাসক শিবির। ইতিমধ্যে প্রতিটি পুরসভা এলাকায় কর্মী সম্মেলন করে লিড বেঁধে দিয়েছেন জেলা সভাপতি। এমনকী, যে ওয়ার্ডে লিড হবে না সেখানকার কাউন্সিলারকে সরিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন। তাই নিজেদের গদি বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তৃণমূলের কাউন্সিলারা। বুথে বুথে বৈঠক চলছে। ভোটের আগে কাউন্সিলাররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা করবেন।